চট্টগ্রামে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে চালের পাইকারি বাজার। ১০ দিনের ব্যবধানে আট ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ৪ টাকা। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জিরাশাইল ও কাটারি আতপ চালের দাম। এদিকে রাজধানীতে কমছে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম। এ ছাড়া রাজধানীর বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে কমছে সবজির দাম।
খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলী পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেতি আতপ চালের প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। সে হিসাবে বেতি আতপ চালের প্রতি বস্তা বিক্রি করা হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। একইভাবে পাইজাম আতপের বস্তায় ১০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ১০০ টাকা, মিনিকেট সেদ্ধ চালে ১০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ১০০ টাকা, মোটা চালে ৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৩৫০ টাকা, জিরাশাইলে ২০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, পাইজাম সেদ্ধ চালে ৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৯০০ টাকা, কাটারি আতপ চালে ২০০ টাকা বেড়ে ৪ হাজার টাকা ও মিনিকেট আতপ চালে ৫০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সে হিসাবে প্রতি কেজি বেতি আতপ চালের দাম বেড়েছে ১ টাকা, একইভাবে প্রতি কেজি পাইজাম আতপে ২ টাকা, মিনিকেট সেদ্ধ চালে ২ টাকা, মোটা চালে ১ টাকা, জিরাশাইলে ৪ টাকা, পাইজাম সেদ্ধ চালে ১ টাকা, কাটারি আতপে ৪ টাকা ও মিনিকেট আতপ চালে ১ টাকা বেড়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছিল। সে সময় কেজিপ্রতি চালের দাম বাড়ানো হয়েছিল ২ থেকে ৪ টাকা। সেদিন পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি বেতি আতপ চাল ১৫০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ১৫০ টাকা, পাইজাম আতপ ৩ হাজার টাকা, মিনিকেট সেদ্ধ চাল ৩ হাজার টাকা, মোটা চাল ২ হাজার ৩০০ টাকা, জিরাশাইল ১০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, পাইজাম সেদ্ধ চাল ২ হাজার ৮৫০ টাকা, কাটারি আতপ চাল ২০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও মিনিকেট আতপ চাল ১৫০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৩৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছিল।
এদিকে সরকার চাল আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, আর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কোনো ধরনের চাল আমদানি হয়নি বলে জানিয়েছে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ।
পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে ৯০ শতাংশ চাল আসে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। আগে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ধান ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। এখন তা ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মিলাররাও সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন।