বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশি বাণিজ্যে আমদানির খরচ কমানোর জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে সরাসরি বিদেশ থেকে ইস্যু করা প্রোফর্মা ইনভয়েসে (যেখানে পণ্যের মূল্য, শিপিং খরচ, ট্যাক্সসহ অন্যান্য চার্জের প্রাথমিক তথ্য থাকে) বিদেশি সরবরাহকারীরা ক্রেডিট রিপোর্ট ছাড়াই ৩০ হাজার ডলারের পণ্য সরবরাহ করতে পারবেন। এর আগে এই সীমা ছিল ১০ হাজার ডলার। একইভাবে স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনডেন্টের বিপরীতে ৪০ হাজার ডলারের আমদানির জন্যও ক্রেডিট রিপোর্ট প্রয়োজন হবে না, যেখানে পূর্বে এই সীমা ছিল ২০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুটি আলাদা প্রজ্ঞাপনে এসব নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট একবার নেওয়া যাবে, তবে ব্যাংকগুলো ওই রিপোর্টের জন্য একাধিকবার খরচ পরিশোধ করতে পারবে না। একই রিপোর্ট বিভিন্ন আমদানিকারকের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোকে আমদানিকারকদের জন্য যুক্তিসংগত সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে এবং অন্য ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা ক্রেডিট রিপোর্টও গ্রহণযোগ্য হবে।
অপর প্রজ্ঞাপনে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ লেনদেন পরিচালনার জন্য ইলেকট্রনিক অপশন প্রবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে এলসি ট্রান্সমিশন, অ্যাডভাইজিং, উপস্থাপন, বিলে স্বীকৃতি এবং অন্যান্য যোগাযোগ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে হবে।
ব্যবসাসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ক্রেডিট রিপোর্টের সীমা বৃদ্ধি এবং একাধিকবার ব্যবহারের সুবিধা আমদানি ব্যয় কিছুটা হলেও কমাবে, কারণ প্রতিটি রিপোর্ট সংগ্রহ করতে প্রায় ২০০ ডলার খরচ হয়। এ ছাড়া ব্যাক টু ব্যাক এলসিব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতির ব্যবহার লেনদেনের জটিলতা কমাতে সহায়ক হবে।