শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ নিশ্চিত করতে এক দফা দাবীতে সিলেটের বিয়ানীবাজারে মানববন্ধন করেছে উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষক। বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এর উদ্যোগে বুধবার বিকালে পৌরশহরের উত্তরবাজারের প্রধান সড়কে মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষকরা বলেন, ১০ম গ্রেড সহকারী শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবী। চাকরির শুরু থেকে শিক্ষকদের কে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে যা মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের জন্য লজ্জা জনক এবং বৈষম্যমূলক। তাছাড়া বর্তমানে পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সমযোগ্যতার হওয়া সত্ত্বেও ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু সেই একই যোগ্যতা নিয়েও সহকারী শিক্ষকরা বঞ্চিত। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে সহকারী শিক্ষকদের ১৩ গ্রেডে থেকে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত হিমসিম খেতে হচ্ছে। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের জীবনমান টিক না থাকলে তারা শিক্ষার্থীদের কিভাবে ভালো মানের শিক্ষায় শিক্ষিত করবে সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন তারা। শিক্ষকদের সম্মান এবং সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নিত করা হলে তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবে। মানববন্ধন শেষে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম এর কাছে শিক্ষকদের দাবী তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষক সুলেমান আহমদ, বিমল পাল, আবুল হোসেন চৌধুরী, ইসলাম উদ্দিন, হাফসা বেগম, শিল্পী রানী দত্ত, সুমত ভট্টাচার্য, লুৎফুল হক চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক হাজী রুহুল আমিন,আব্দুল ওয়াদুদ, দেবাংশু তালুকদার, লোকমান হোসেন, মিন্টু কান্ত দাস, সৌমেন চক্রবত্তী, নুরুল হক শামীম, ফয়জুল ইসলাম, আপ্তাব মিয়া, ফয়সল চৌধুরী, হারুনুর রশীদ, দিপা বেগম, জাহেদা বেগম, সাদেক আহমদ, আলী হোসেন মুন্না, পূরবী রাণী দাস, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।