গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও করেছেন প্রায় শতাধিক মহিলা। প্রায় দেড় ঘণ্টা থানা ঘেরাও করে রাখেন তারা। সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় গণগ্রন্থাগারে অস্থায়ী পুলিশ স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম সাগর হাসান। তিনি উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি সফর আলী কলেজের ছাত্র। উপজেলার কল্যান্দী গ্রামের কবির হাসানের ছেলে তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশ কল্যান্দী এলাকা থেকে সাগর হাসানকে আটক করে থানায় নেয়। সকালে সাগরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজনরাসহ শত শত নারী পুরুষ মিছিল নিয়ে থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন এবং থানা ঘেরাও করে রাখেন। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকে, ‘আমার ভাই থানায় কেন, জবাব চাই, ‘আমারে ছেলে থানায় কেন, জবাব চাই।’ এলাকাবাসীর সঙ্গে সরকারি সফর আলী কলেজের সাগরের সহপাঠীরা যোগ দেন। শিক্ষার্থীরা সাগরের মুক্তির দাবীতে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ নিরাপত্তার কথা ভেবে থানার গেট বন্ধ করে দেয়। পরে ওসি গেটের ভেতর থেকে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা ওসিকে সাগরকে গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চান। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি থানার ওসি। একপর্যায়ে অবরোধকারীদের তোপের মুখে পড়ে ওসি থানার ভেতরে চলে যান। মুহূর্তেই থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতার হস্তক্ষেপে অবরোধকারী থানা এলাকা থেকে চলে যান। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় সাগরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।