পহেলা বৈশাখের ছুটির দিনেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনেই রেকর্ড সংখ্যক ২০১ ট্রাকে আট হাজার ৪৩১টন চাল আমদানি হয়েছে। এদিকে আমদানি বন্ধের খবরে বন্দরে বেড়েই চলেছে চালের দাম। প্রতি কেজিতে প্রকারভেদে ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। আবার কিছু কিছু চালের দাম ৪/৫ টাকা করে বেড়েছে।
এলসি করা সব চাল দেশে প্রবেশের লক্ষ্যে সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের ছুটির দিনেও বিশেষ ব্যবস্থায় বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম খোলা রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চালসহ অন্য পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে নতুন করে চাল আমদানির মেয়াদ না বাড়ানো হলে আগামীকাল বুধবার থেকে আর চাল আমদানি হবে না।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত। কিন্তু এখনো অনেক আমদানিকারকদের এলসি করা চাল ভারতে ট্রাক বোঝাই অবস্থায় দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। আবার অনেক আমদানিকারকদের শিপমেন্ট পূরণ হয়নি। কোনও কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে চাল আমদানি হলে ৬২.৫ ভাগ শুল্ক দিতে হবে আমদানিকারকদের। এখন শুল্কমুক্ত হিসেবে চাল আমদানি হচ্ছে, কিন্তু শুল্ক পরিশোধ করতে হলে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। তাই এলসি করা সব চাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে প্রবেশের লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার পহেলা বৈশাখের সরকারি ছুটির দিনেও বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু রাখা হয়। এতে করে দিনটিতে বন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেগুলো খালাস হয়নি। গতকাল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২১৩ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। যার মধ্যে ২০১ ট্রাক ছিল চাল। মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দর থেকে সেসব চাল খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।