বাংলাদেশের ভেতরে এমন কয়েকটি জনপদ রয়েছে যেখানে মুসল্লীররা একসাথে জামায়াতে সালাত আদায় করার জন্য নেই কোন জামে মসজিদ। জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য মুসল্লীরা পায়ে হেটে অনেকটা দূরের পথ পাড়ি দিয়ে পাসের গ্রামের কিংবা পাসের মহল্লার মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করেন মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য পাওয়ার আশায়। এতে করে বেশিরভাগ সময় সেসব এলাকার মুসল্লীরা সঠিক সময়ে পৌছাতে না পারার কারণে ইমামামের পেছনে দাঁড়িয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারেন না। পিছিয়ে পড়া সেসব এলাকার মুসল্লীদের সুবিধার কথা চিন্তা যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত চ্যারিটি সংগঠন নুসূক ফাউন্ডেশন (রেজিষ্ট্রেশন নং: ১১৯০৩৭৭) এর অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার উত্তর ঘাগোয়া (সরকার পাড়া) এলাকায় নবনির্মিত আন-নুসূক জামে মসজিদ এর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন করা হয়। এই মসজিদ নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয়রা সময়মতো জামাতে সালাত আদায় করতে পারবেন বলে আসাবাদ ব্যাক্ত করেছেন নুসূক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীলরা।
এর আগে নুসূক ফাউন্ডেশন (রেজিষ্ট্রেশন নং: ১১৯০৩৭৭) এর অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ভাবনচুর এলাকায় আন-নুসূক জামে মসজিদ, রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার ঢুষমারার চর এলাকায় আন-নুসূক জামে মসজিদ এবং ঠাকুরগাঁও জেলার মাদারগঞ্জ পৌরসভার
পাইকপাড়া এলাকায় আন-নুসূক জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে আফ্রিকার দেশ উগাণ্ডায় আন-নুসূক জামে মসজিদ এর নির্মাণ কাজ চলমার রয়েছে। আগামী মাসে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান নুসূক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীলরা।
নুসূক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ম্যানেজার লেলিন হোসেন এর তত্ত্বাবধানে একদল যুবক দেশের যে সকল এলাকায় মসজিদ নেই সেগুলো এলাকা চিহ্নিত করে মসজিদ নির্মাণের জন্য সকল প্রকার কাজে সহযোগিতা করে আসছেন।
এ বিষয়ে নুসূক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, নুসূক ফাউন্ডেশন মুলত একটি চ্যারিটি সংগঠন। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকি। তাছাড়া নুসূক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নুসূক ফাউন্ডেশন মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪টি জামে মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে যাতে মানুষ সালাত আদায় করতে পারে। পাশাপাশি এসব মসজিদে মক্তব শিক্ষা চালু করা হয়েছে যাতে এলাকার শিশুরা ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। আমাদের এই প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান থাকবে।