• বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ অপরাহ্ন

প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছরেও হয়নি সরকারি ভবন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান

ডেস্ক রিপোর্ট / ১২৩ Time View
Update : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

শৈলকুপায় দেড়শ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের নাগেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৪৫ বছর অতিবাহিত হওয়ায় স্কুলের টিনশেড ঘরসহ অন্যান্য ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে কম-বেশি পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। পলেস্তরা খসে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় পাঠদানের কক্ষ স্বল্পতাসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭৪ শতাংশ জমির ওপর ১৮৮১ সালে নাগেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫ শতাধিক। প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত কোনো একাডেমিক ভবন বরাদ্দ পায়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের পক্ষে একাধিকবার ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করা হলেও কোনো ফল আসেনি। ১৯৮০ সালে বিজ্ঞান ভবন ও ১৯৯৭ সালে ফ্যাসেলিটিজ বিভাগ থেকে একটি ভবন নির্মাণ হলেও তা রয়েছে এখন ঝুঁকিতে।

সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঠদান কক্ষ, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, সহকারী শিক্ষকের কক্ষ ও অফিস কক্ষসহ ১১টি কক্ষ রয়েছে তবে সবগুলো কক্ষেরই বেহালদশা। দেওয়াল ও ছাদে অধিকাংশ জায়গায় ফাটল ধরেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। পাঠদানের অনুপযোগী শ্রেণিকক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘরের কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্থী রানী মণ্ডল বলেন, আমরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে ক্লাস করি। মাঝেমধ্যে ছাদ থেকে বালু খোয়া পড়ে আমাদের শরীরের ওপর। আমরা বিদ্যালয়ে একটা নতুন ভবন চাই। এ ব্যাপারে অভিভাবক তিতাস কুমার বলেন, ১৪৫ বছরের বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই খারাপ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করছে। বিদ্যালয়ে নতুন ভবন বরাদ্দ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মুকুল হোসেন বলেন, অনেক আগ থেকেই টিনশেড ঘরসহ ভবন দুটি ঝুঁকিপূর্ণ। একটি একাডেমিক ভবনের জন্য বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এ ছাড়া টিনশেডের ঘরটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। তাই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন বরাদ্দ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতান আলী বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক পুরনো। তবে ভবন নির্মাণের চাহিদা দিলে আমি ভবন নির্মাণ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব। আর বিদ্যালয়ে ছোটখাটো মেরামতের কোনো দরকার হলে আমি সহযোগিতা করব। উপজেলার নাগেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, প্রধান শিক্ষক ভবন বরাদ্দের চাহিদা দিলে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব এবং সার্বিক সহযোগিতা করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category