মাত্র তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। তবে গরুর মাংস ও খাসির মাংসের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় মাংসের বাজারের এ অবস্থা।
পৌর শহরের কিচেন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, কিছুদিন আগেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ টাকায়। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। বর্তমানে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে।
অন্যদিকে পৌরশহরের গরুর মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ও খাসির মাংসের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকায়।
শহরের নিমতলায়, পৌর কাঁচা বাজার, দক্ষিণ বাজারসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানে মুরগির সরবরাহ কম। বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকেই তারা চড়া দামে মুরগি কিনছেন। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু বিক্রেতা আবার অভিযোগ করেছেন, খামার মালিকরা ইচ্ছা করে সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছেন।
পৌর শহরের কিচেন মার্কেটের মাংস বিক্রেতা আবজল বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। এ কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম যখন কমবে, ওই সময় আমরাও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে পারব।’
একই বাজারের আরেক বিক্রেতা মুহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম। এর কারণে দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।’
বাজারে মুরগির দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ দাম বড় ধরনের চাপ তৈরি করছে। ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগি কিনেছি ১৮০ টাকা কেজিতে। আজ এসে শুনি ২১০ টাকা। পরে এ দামেই দুই কেজি কিনলাম।’
আরেক ক্রেতা সুহানা আক্তার বলেন, ‘বাজার মনিটরিং নেই বলেই ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হলে এমন অবস্থা হতো না।