• মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

বিয়ানীবাজারে ডায়াবেটিস দিবসে র‍্যালী: বাড়ছে রোগী, চিকিৎসায় হিমশিম

সামিয়ান হাসান / ২৬৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

বিয়ানীবাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপজেলায় ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে নারী রোগীর হারই বেশি। রয়েছে শিশুও। এদিকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে উচ্চমূল্যে কিনতে হচ্ছে ওষুধ। অনেকের আবার সামর্থ্য না থাকায় নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারছে না। ফলে বাড়ছে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা।

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে । এখানে উচ্চ ক্যালরি খাবার বেশি গ্রহণ হচ্ছে। যেমন বেশি পরিমাণে চর্বিজাতীয় খাবার, বেশি পরিমাণে ক্যালরিজাতীয় খাবারগুলো খাওয়া, ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। এটা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। যদি শারীরিক কার্যক্রম কম থাকে, তাহলে সমস্যা হয়। যাদের শারীরিক কার্যক্রম কম থাকে, নড়াচড়া কম, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক থাকে এবং মানসিক চাপ যাদের বেশি থাকে, তাদের সমস্যা হয়। মানসিক চাপ কমাতে হবে।

এমন প্রেক্ষাপটে জনসাধারণকে সচেতন করতে বিয়ানীবাজারে ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে। বিয়ানীবাজার ডায়াবেটিস এন্ড হরমোন সেন্টারের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে সকালে র‍্যালী বের করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন।

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: শিব্বির আহমদ সোহেল জানান, ডায়াবেটিস চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল। ফলে নিম্নমধ্যবিত্ত রোগীরা চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অনেকে দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকছে। তিনি বলেন, অনিয়মিত জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস ও পরিশ্রম কম করার কারণে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতেই হবে।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ডেন্টাল সার্জন ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছর ধরে আমি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। এই রোগের কারণে আমি অনেক ভূগছি।’ তিনি জানান, ডিভাইসে আসক্তি, অপর্যাপ্ত ঘুম, স্থূলতা ও হরমোনের সমস্যার কারণে এ রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা: মনিরুল হক খান বলেন, বর্তমানে তরুণ-তরুণীরাও আশঙ্কাজনক হারে ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এটি শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে না, মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। শর্করাজাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ স্থূলতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়। কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (এনসিডি) মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীর বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category