সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দেড় কোটি টাকার মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে।এতে মাছ শিকার করতে আসা হাজার হাজার জনতাকে উল্লাস করতে দেখা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কামান বিলে।
প্রত্যদর্শীরা জানান, শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় দুই/তিনটি গ্রামের হাজার খানেক মানুষ পলো, ছোট ছোট জাল, মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে কামান বিলে মাছ ধরতে নেমে পরে। এসময় কামান বিলের ইজারা প্রাপ্ত চরনারচর এবিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকেরা বাধা দিলেও তারা শুনেনি।
এ ঘটনায় দেড় কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে বলে ধারনা সমিতির সদস্যদের।
এদিকে ঘটনা শুনার পর থেকে শুক্রবার সারাদিন ও রাতে আশে পাশের উপজেলার ও বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সেখানে জড় হতে থাকে। শনিবার সকালে সেখানে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ জড় হয় বলে স্থানীয়রা জানায়।
চরনারচর এবিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুধির বিশ্বাস মাছ লুটের অভিযোগ করেন, বিলটি ১৯৭ একর জায়গা জুড়ে। বিলের মাছ ধরতে ৫ মাস সময় লাগে।৪০ জন জেলে দীর্ঘদিন ধরে পিছন দিক থেকে ১ বিঘা জায়গার মধ্যে সমস্ত মাছ আটক করে নিয়ে এসেছে । এটাকে বলা হয় যমুনা। এটা হচ্ছে কামান বিলের মূল অংশ। স্রোতের বিপরীতে এখানে এসে সমস্ত মাছ জমা হয়। তিন বছর ফাইল করে যে সমস্ত মাছ গুলো ধরা হয় এখানে এই বড় মাছ গুলো ছিল। নির্দিষ্ট সময় ও পরিকল্পনা নিয়ে মাছ ধরতে হয়। আমরা এর আগে গত বুধবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শুক্রবারে যমুনার মাছগুলো ধরব।
তিনি বলেন, এলাকার ধর্মীয় অনুষ্ঠান কীর্তন থাকায় আমরা তারিখটা পিছিয়ে শুক্রবারে নেই। কিন্তু এর আগেই আমরা শুনতে পাই আগামীকাল কামনা বিলে পলো বাইচ। আমরা তাদের বুঝানোর চেষ্টা করি। আমরা বলি আমাদের একটা সপ্তাহ সময় দিন আজকে শুক্রবার আগামী শুক্রবারে আপনারা পলো বাইচ দিয়েন কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনেনি।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাজার হাজার মানুষ মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা করা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত ক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।