তানিফা আহমেদ ছিলেন জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক ও বীরসেনানী। তার এ বীরত্বগাথা দেশ ও জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার রাতে তানিফা ও পরে তার নিহত মামা শামীমের বাসায় পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় সমবেত স্বজনদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিবারের অন্য সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমিরের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন এবং চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিরপুর মডেল থানার সহ-মুখপাত্র তানিফা আহমেদ তার মামা শামীমসহ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
এ সময় মহানগরী আমিরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের গণমানুষের নেতা কর্নেল (অব) আব্দুল বাতেন, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমির ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘তানিফা আহমেদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। তার ঐতিহাসিক অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এ সময় তিনি তানিফাসহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সবাইকে জান্নাতের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন। মহানগরী আমির তাদের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু যেভাবেই হোক তা আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই হয়ে থাকে। আর দুর্ঘটনাতে কারও কোনো হাত নেই। তানিফা আহমেদ ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ ও গর্বিত সন্তানদের মধ্যে একজন। তার দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফরে দেশ ও জাতির যে অনন্য সাধারণ অবদান রেখেছেন তা আমরা কখনোই বিস্মৃত হব না। তাই শোক কাতর না হয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’
এ সময় তিনি নিহত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।