• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন

আড়াই কোটি টাকার ফুটওভার ব্রিজ বখাটেদের দখলে

ডেস্ক রিপোর্ট / ১১৬ Time View
Update : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলাদীপুর বাজারের মানুষের সড়ক পারাপারে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ফুটওভার ব্রিজ। কিন্তু এ ব্রিজটি কেউ ব্যবহার করে না। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই ফুটওভার ব্রিজের ওপর বসে বখাটে ও নেশাখোরদের আড্ডাখানা।

রাজবাড়ী জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের আলাদীপুর বাজারে এ ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। আলাদীপুর বাজারটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। বাজারের পূর্ব দিকে রয়েছে আলাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আলাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সড়কের পাশ দিয়ে রয়েছে বিদ্যালয়ের মার্কেট। পশ্চিম পাশে রয়েছে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও আলাদীপুর বাজার। নিরাপদ সড়ক পারাপারের জন্য এখানে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়রা জানান, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে রাজবাড়ী-ফরিদপুর, দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া রুটে লোকাল বাস চলাচল করে। এ ছাড়া রাজবাড়ী-ঢাকা, কুষ্টিয়া-ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি রুটে এ সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার বাস চলাচল করে। ব্যস্ততম এ সড়কটি এক লেন। এ কারণে মাঝখানে কোনো ডিভাইডার নেই। আলাদীপুর বাজারের উত্তর ও দক্ষিণে সড়কটিতে দেওয়া আছে গতিরোধক। ফলে যানবাহন আলাদীপুর বাজার পার হওয়ার সময় গতি কমিয়ে দেয়। এ জন্য রাস্তা পারাপারের জন্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ কেউই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে না। ফলে বিভিন্ন সময় ফুটওভার ব্রিজের ওপর আড্ডা দেয় নানা বয়সী ছেলেরা। আর সন্ধ্যার পর বসে মাদকের আড্ডা। চারপাশ ঘেরা থাকায় অনায়াসেই মাদকসেবীরা সেখানে বসে মাদকসেবন করে। আলাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, এ বিদ্যালয়ে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের সমাবেশে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীদের ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে বলি। কিন্তু তারা কেউই ব্যবহার করে না। তবে আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখানে ফুটওভার ব্রিজ করার জন্য কখনো দাবি করিনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ফুটওভার ব্রিজ বানিয়ে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে। স্কুলের সময় ছেলেরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ব্রিজের ওপরে বসে থাকে। আর রাতে বখাটে ছেলেরা আড্ডা দেয়। কাউকে ব্রিজের ওপর দিয়ে রাস্তা পার হতে দেখি না।

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাজস খান বলেন, আমি রাজবাড়ী যোগ দেওয়ার কয়েক বছর আগে এ ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আমি ব্রিজটি সম্পর্কে কিছুই জানি না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category