চলতি বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে অর্ধেকেরও বেশি পরীক্ষা বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এবার কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫, যা গত বছর ছিল ৪২। অর্থাৎ, গত বছরের চেয়ে এবার কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২৩টি। তবে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৪৩৫টি। মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এবার এইচএসসিতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ১৯৭, মোট কেন্দ্র ছিল ২ হাজার ৬৯৫টি। শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৩৮৭টি। গত বছর মোট প্রতিষ্ঠান ছিল ৯ হাজার ১৮৭টি, কেন্দ্র ছিল ২ হাজার ৬৫৭টি। শতভাগ পাস করেছে ৯৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
এতে দেখা যায়, এবার মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১০টি, কেন্দ্র বেড়েছে ৩৮টি।
সাতটি বিষয় ছাড়া বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা না হলেও এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে এবার ৫৩ হাজার ৩১৬ জন বেড়েছে। সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশের কারণে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি জানান, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।
অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন। আলিমে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬১৩ জন। ভকেশনাল/বিএস/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ। জিপিএ -৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯২২ জন।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
এবার ১১টি বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর লিখিত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বাকি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।