• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

কে হচ্ছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌরসভার প্রশাসক 

সামিয়ান হাসান / ১৪৬ Time View
Update : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের এক বক্তব্যে বিয়ানীবাজারে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এখানকার উপজেলা ও পৌরসভার প্রশাসক পদে বসতে সম্ভাব্যদের মধ্যে দৌড়ঝাপও চলছে।

সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় ‘ফুল টাইম’ প্রশাসক বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি সাময়িক একজন প্রশাসক দিয়ে এত বড় সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার সেবাগুলো দেয়া সম্ভব নয়। এখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে আছে, সার্বক্ষণিক কর্তব্য আছে। সেগুলো পালন করার জন্য সার্বক্ষণিক একজন প্রশাসকের প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের পর বিয়ানীবাজারে বিএনপি, জামায়াত এবং নির্দলীয় সচেতন মহলের মধ্যে আশা জেগেছে। এমন খবর জানার পর সম্ভাব্য আগ্রহীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি ঢাকায় অবস্থান করছেন, কেউ আবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রশাসক পদে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল, যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ, উপজেলা সভাপতি এড. আহমদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, জামায়াতের আমীর ফয়জুল ইসলাম, সাবেক নায়েবে আমীর আবুল খায়েরের নাম দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় আছে। পৌরসভার প্রশাসক পদে জেলা বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু নাসের পিন্টু, বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান রুমেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাজী জমির হোসাইন এর নাম আলোচনায় আছে।

তবে দলীয় বিবেচনায় না দিয়ে সরকার যদি নির্দলীয় কাউকে এসব পদে বসায় তাহলে সুশীল সমাজের অন্য কেউও এসব পদে বসতে পারেন। এক্ষেত্রে উপজেলা সুজন সভাপতি এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন, পৌরসভায় শিক্ষাবিদ আলী আহমদ আলোচনায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক  (সুজন) বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট আমান উদ্দিন বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ে এরকম আলোচনা হচ্ছে বুঝতে পারছি। তবে কোন প্রক্রিয়ায় প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে সেটা বুঝতে পারছি না। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

শিক্ষাবিদ আলি আহমদ বলেন, বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি সেখান থেকে দলীয় কোন ব্যাক্তি এসব দায়িত্বে আসলে কতটা সুবিধা করতে পারবে সেটা বুঝতে পারছি না। তারপরও জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে যে কাউকে এই দুটি আলাদা পদে নিয়োগ দেয়া হলে চাপ যেমন কমবে তেমনি জনগণের বিড়ম্বনা কিছুটা হলেও লাগব হবে।

প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি জামায়াতের উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম।

বিএনপির বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন বলেন, একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে একসাথে এতো গুলো দায়িত্ব সামাল দেয়া যেমন কষ্টের তেমনি প্রতিনিয়ত জনগণ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেটাও দৃশ্যমান। এসব বিষয় চিন্তা করে  সরকার উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এসব দায়িত্বে সর্বজন গ্রহণ যোগ্য ব্যাক্তিকে বসানো উচিৎ। যারা সবসময় জনগণের কথা চিন্তা করে মাঠে কাজ করছে। আমাকে যদি দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে আমি সবাইকে নিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করবো। 

বিএনপি নেতা আবু নাসের পিন্টু বলেন, আমি বিগত দিনে পৌরসভা নির্বাচন করেছি। আমি জানি পৌর শহরের বাসিন্দাদের কি সমস্যা এবং সেগুলো কিভাবে সমাধান করতে হয়। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে রুটিন কাজ করার পাশাপাশি পৌর শহরেকে যানযট মুক্ত একটি নান্দনিক শহর গড়ে তুলতে সবার মতামত নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category