সিলেটের গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের কালিজুরী গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে প্রতিবন্ধী এমরান ফানু (৫৫) হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত ৫নং আসামী বিলাল উদ্দিন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিট একশন ব্যাটালিয়ন-০৯ (র্যাব -৯)।
রোববার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের খাটকাই গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত বিলাল উদ্দিন কালিজুরী গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা। তিনি বলেন, আসামীকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ, গত ২২ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে বুধবারীবাজারের পূবালী ব্যাংকের সামনে কালিজুরী গ্রামের জড়ন মিয়ার পুত্র কামরান হোসেন এর সাথে সাহিদুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এই জের ধরে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালিজুরী গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে কয়েছ আহমদ, একই গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে বুরহান উদ্দিন, বুরহান উদ্দিনের ছেলে আবিদ হোসেন, ফিরোজ আলীর ছেলে বিলাল উদ্দিন, হুছন আলীর ছেলে রেহান উদ্দিন এবং জড়ন মিয়া সহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে কামরান হোসেন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাহিদুল ইসলামের বাড়িতে এসে হামলা করেন। এসময় তারা সাহিদুল ইসলামের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ ভাই এমরান ফানুকে হামলা করে বাম চোখ নষ্ট করে দেন। এবং তার মাথায় গুরুতর জখম করেন। এ হাামলায় সাহিদুল ইসলামকেও আহত করা হয়।
এসময় গুরুতর আহত এমরান ফানুকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়৷ সেখানে ৯দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত আড়াইটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাহিদুল ইসলামের বোন সেলি বেগম ৯জনের নাম উল্লেখ ও আরো অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং -২৪, ২৩-০৩-২০২৫ইংরেজি) দায়ের করলে এই মামলায় প্রধান আসামীকে কয়েছকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ চট্রগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে। এই মামলার ৫নং এজহারভুক্ত আসামী বিলাল আহমদকে আজ গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯।