গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর থেকে বিয়ানীবাজার থানায় একের পর এক মামলায় দিশেহারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একাধিক মামলার আসামী হয়ে আত্মগোপনের রয়েছেন সংগঠনটির উপজেলা শীর্ষ সারির নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
থানা পুলিশের অভিযানে ৪ অক্টোবর রায়হান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতা কলিম উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম রোকনের গ্রেপ্তার ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও আতংক দেখা দিয়েছে।
এদিকে তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতাদের দাবি যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। শুধুমাত্র নেতাদের হয়রানি করার জন্য দায়েরকৃত মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ৫ আগস্টের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয় সেটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। সঠিকভাবে তদন্ত হলে এসব মামলায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয় সেটা পরিস্কার হয়ে যাবে।
গত ১৫ বছর কোন প্রয়োজন ছাড়া থানা সদরে আসা একদিনের জন্য বন্দ না করা আওয়ামী লীগের শীর্ষ সারির নেতারা গত দুই মাস থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। শীর্ষ নেতাদের মতো আত্মগোপনে রয়েছে পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মাঝে মধ্যে দু-একজনকে পৌরশহরে এক ঝলক দেখা গেলেও পর মুহূর্তে উদাও হয়ে যান তিনি। গুরুত্বপূর্ণ কাজে শহরে আসা উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা বলেন, এসব রাজনৈতিক মামলা। আওয়ামী লীগের সবস্তরের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে শহরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিন যারা আত্মগোপনে ছিলেন তারা এখন প্রকাশ্যে মিছিল-মিটিং করছেন। যারা প্রকাশ্যে ছিলেন তারা এখন আত্মগোপনে। তাঁর মতে এরকম রাজনৈতিক চর্চা যতদিন থাকবে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হবে না।
থানা পুলিশ জানায়, ৫ আগস্টে বিয়ানীবাজার থানা, উপজেলা ও পৌরশহরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ চলাকালে গুলিতে হিত তিনজনের পরিবার থানায় পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ দিনের ঘটনায় আহত দুবাগ ইউনিয়নের নাজমুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে তাজিম বাদী অপর মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।