ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম একটি রাত পার করছেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাত ১১ টার পর থেকে ডাকাত আসার গুজবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পুরো উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মসজিদের মাইকেও ডাকাত আসার খবর দেওয়া হয়। এরপর দিক-বিদিক ছুটতে থাকেন সাধারণ মানুষ।
কেউ কেউ রাত জেগে নিজের জানমাল ও সম্পদের পাহারা দেন। তবে উপজেলার কোথাও ডাকাতি হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ডাকাতির আতঙ্ক প্রথমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে ছড়ায়। পরে ফেসবুক ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তা বিয়ানীবাজারসহ আশেপাশের আরও দু’একটি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। মাথিউরা, মুল্লাপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় মাইকযোগে প্রচারণা চালানো হয়। গ্রামের রাস্তায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারা বসান এলাকাবাসী। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ লাঠি, টর্চলাইট, বাঁশি নিয়ে রাত জেগে পাহারা দেয়া শুরু করেন।
থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়, পুলিশের টহলদল সর্বত্র বিচরণ করছে। সবাই ফেসবুকে সতর্কতামুলক পোস্ট দিতে থাকেন। পুলিশের দাবী, বিয়ানীবাজারে ব্যর্থ হয়ে ডাকাতদল গোলাপগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। তবে সেখানকার লোকজন সতর্ক থাকায় দুই ডাকাতকে আটক করে থানা পুলিশ।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, আমাদের থানা এলাকার প্রবেশমুখ জায়গীরদারে পুলিশ ও জনতার ব্যারিকেড দেখে ডাকাতদল গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যেতে চায়। পথিমধ্যে দু’জন ডাকাত গাড়ি থেকে নেমে গেলে অস্ত্রসহ জনতার সহায়তায় গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
তিনি আরোও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদের পরিকল্পনা জেনে যায় পুলিশ। তাই জনগণকে সচেতন করতে আমরা বিষয়টি প্রচার করি। জনতার এমন অভূতপূর্ব সহায়তায় পুলিশ সদস্যরা অনেক উৎসাহ পেয়েছেন। আরো কয়েকটা দিন স্থানীয় মানুষকে এভাবে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।