বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী পরীক্ষা না দিলেও তাকে পাস করানোর অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে দুটো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে অভিযুক্ত শিক্ষককে বেরোবির অর্থ ও হিসাব পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানসহ আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় ওই দুই পদে নতুন করে দুজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ সংক্রান্ত আদেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেরোবির জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, গণিত বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিনকে ইতিপূর্বে দেওয়া দুটি অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী পরীক্ষা না দিলেও তাকে পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে বেরোবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তানজিউল ইসলামকে আহ্বায়ক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ প্রামাণিককে সদস্য এবং গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হান্নান মিয়াকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।