• মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন

ফজলি ও গোপালভোগ আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ টাকায়

স্টাফ রিপোর্টার / ৩৩ Time View
Update : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সড়কের পাশে বিক্রি হচ্ছে আম। প্রতি কেজি মাত্র সাড়ে ৩ টাকা। ঝরে পড়া এসব অপরিপক্ব আম কিনছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তে। অথচ এই আম কিছুদিন পর বাজারে উঠলে দেড় শ টাকা কেজিও মিলত।

ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোমস্তাপুর। ঝড়ে পড়েছে ফজলি, গোপালভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতি, গুটিসহ বিভিন্ন জাতের অপরিপক্ব আম।

শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া, পুরাতন বাজার, যাতাহারা, রহনপুর ও জামতলা ঘুরে দেখা গেছে—ভ্যানে, সাইকেলে কিংবা মাথায় করে আম এনে রাস্তার ধারে বিক্রি করছেন চাষিরা। সেগুলো ৩ টাকা থেকে সাড়ে ৩ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

গোমস্তাপুর উপজেলার আমচাষি এরসাদ আলী বলেন, ‘গত রাতে প্রচণ্ড ঝড় হয়েছে। অনেক অপরিপক্ব আম পড়ে গেছে। এখন বাজারে তুলতে পারছি না। তাই রাস্তার পাশে কম দামে বিক্রি করছি।’

নয়াদিয়াড়ী গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ‘আমার বাগানের অনেক আম পড়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে ব্যবসায়ীরা খুব কম দামে কিনছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

রাধানগরের আমচাষি জুয়েল রানা বলেন, ‘আর মাত্র এক সপ্তাহ পর বাজারে যেত আমার আম। যে আম দেড় শ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো, সেটা এখন সাড়ে তিন টাকায় যাচ্ছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘গত রাতের ঝড়বৃষ্টিতে আমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গোমস্তাপুরে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ঝড়ে ঝরে পড়া এসব আম তেমন কাজে আসে না। হকাররা গ্রামে ঘুরে কম দামে কিনে নিচ্ছেন।’

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category