নতুন আলু, পেঁয়াজ উঠছে। দামও অল্প অল্প করে কমছে। ৫০-৬০ টাকা কেজিতে মিলছে এই পণ্য দুটি। বেগুন, কপিসহ বিভিন্ন সবজির দামও সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে। এসব পণ্যে স্বস্তি ফিরছে ধীরে ধীরে। ডিমের দামও কমে ১৩৫-১৪০ টাকা ডজনে নেমেছে। তবে দুই দিনের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকায় ঠেকেছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমেনি।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার সহ সিলেটের বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হঠাৎ করে সোনালি মুরগির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিয়ানীবাজারের বিকেন এন্ড বার্ডস এর স্বত্বাধিকারী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘কাঁচামাল ধরে রাখা যায় না। দুই দিন আগেও ব্রয়লার ১৯০ ও সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। গতকাল কেজিতে ২০ টাকা বেশি দামে কেনা হয়েছে। এ জন্য আমাদেরও বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘শীতের মৌসুমে বিয়েশাদি, পিকনিক শুরু হয়েছে। আবার শীতের প্রভাবে খামারে সরবরাহও কমে গেছে। চাহিদা বাড়ায় ও পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে।’
কারওয়ান বাজারের বাংলা চিকেন হাউসের ফয়েজ আহমেদও বলেন, ‘হঠাৎ করে দুই দিনের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে। ব্রয়লারের কেজি ২২০ ও সোনালি ৩৫০ টাকা হয়েছে। দুই দিন আগে ব্রয়লার ১৯০-২০০ ও সোনালি ৩১০-৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। তবে দেশি মুরগি আগের মতোই ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’
তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ডিমে। কয়েক মাস আগে ভোক্তাদের ডিম কিনতে হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা ডজন। এ নিয়ে হইচই পড়লে সরকার খুচরা পর্যায়ে ১৪৪ টাকা ডজন দাম বেঁধে দেয়। এর পর থেকেই দাম কমতে থাকে। কয়েক মাস ১৪০-১৫০ টাকা ডজনে আটকে ছিল। বিভিন্ন বাজারে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে। কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা রহিম আলী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ডিমের দাম কমছে। এ জন্য আমরাও কম দামে (১৩৫-১৪০ টাকা ডজন) বিক্রি করছি।’
হাতিরপুল বাজারের মুদি দোকানদার মহসিন আলীও বলেন, ‘ডিমের দাম কমেছে।’
অন্য বাজারের ডিম বিক্রেতারাও বলছেন, আগের চেয়ে ডিমের দাম কমেছে। এ জন্য কম দামে বিক্রি করা যাচ্ছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৭০০-৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
আলু-পেঁয়াজের কেজি ৫০-৬০ টাকা
বিয়ানীবাজারে এই দুই পণ্য ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, নতুন পেঁয়াজ ও আলু উঠছে। তাই বাজারে সরবরাহ বাড়ছে। এ জন্য দামও কমছে।
টাউন হল বাজারের খুচরা বিক্রেতা রাকিব হাসান বলেন, ‘আলু ৫০-৬০ টাকা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৫০, আমদানিকরা পেঁয়াজ ৪৫-৫০ ও দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। রসুনের দামও কমে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি এবং আদা ১৬০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’
কারওয়ান বাজারসহ অন্য বাজারেও আলু ও পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তির বার্তা সবজিতে
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা। বেগুনসহ অধিকাংশ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় নেমেছে।
খুচরা সবজি বিক্রেতারা বলেন, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০, ঢ্যাঁড়স ৫০, বরবটি ৬০, মুলা ২০-৩০, পটোল ৪০, পেঁপে ৩০-৪০, গাজর ৬০-৭০, ক্ষীরা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে কপি ৩০-৪০ টাকা পিস ও শসা ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।