বিয়ানীবাজারের গ্রামাঞ্চলে কৃষক পরিবার ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সোনালী ফসল বোরো ধান ঘরে তুলতে। একদিকে ধান কাটা, অন্যদিকে চলছে ধান মাড়াই। একইসাথে চলে শুকানো। এ ধরনের কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। গরম ও বৃষ্টিতে মাঠে কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। ধান কাটার পাশাপাশি চলছে মাড়াই-ঝাড়াইয়ের কাজ।
উপজেলার মুড়িয়া হাওরসহ অন্যান্য ছোটবড় হাওরের যেদিকেই চোখ পড়েছে সেদিকেই দেখা যায়, বোরো ফসল ঘরে তোলার মহোৎসব।
ফতেহপুর গ্রামের কৃষক মঈন উদ্দিন জানান, আমার ৩ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছি। তাজপুর গ্রামের কৃষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এবার আমি ২ একর জমিতে ব্রি-৮৮ জাতের ধান লাগাইছি। ফলন খুবই ভালো। প্রতি একরে ৫০ থেকে ৫৫ মণ ধান পাবো আশা করছি। ধান কাটা কাজে ব্যস্ত অস্থায়ী শ্রমিক রানা, সাজু ও গনেশ জানান, বোরো মৌসুমে আমরা ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। গত বছর মজুরি ছিল ৬০০ টাকা, এবার ৭৫০ টাকা পাচ্ছি। প্রচণ্ড গরম থাকায় খুব ভোরে কাজ শুরু করি।
বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হেকিম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া এরকম অনুকূলে থাকলে এবং শিলাবৃষ্টির মতো কোনো দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর বোরো মৌসুমটি বিয়ানীবাজারের কৃষকদের জন্য একটি সফল অধ্যায় হয়ে থাকবে। তিনি কৃষকদের হাওর এলাকার বোরো ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার আহবান জানান।