• রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন

বিয়ানীবাজারে কোরবানীর মাংস বিতরণে অনিয়ম, সৌদি সরকারের উপহারের মাংস পায়নি দরিদ্র পরিবার 

সামিয়ান হাসান / ৭ Time View
Update : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

 

লাথি পড়ে গরিবের পেটেই প্রবাদটি বিয়ানীবাজারের দরিদ্র মানুষের জন্য বার বার প্রমাণিত হচ্ছে। সৌদি আরব সরকারের পাঠানো উট-দুম্বার মাংসের এক টুকরোও যায়নি বিয়ানীবাজারের দরিদ্র কিংবা দুস্থের কুঁড়েঘরে। ছলে-বলে-কৌশলে কেড়ে নেওয়া সেই মাংস বিত্তবানের রান্নাঘরের হাঁড়িতেই চড়েছে গত ১৬ বছর।

কোরবানির ঈদের পর দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বাংলাদেশে উট-দুম্বার মাংস পাঠানো সৌদি সরকারের প্রতিবছরের রেওয়াজ। সৌদি আরব থেকে আসা উট-দুম্বার মাংস দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসকের হাত ঘুরে মাংস পৌঁছে উপজেলা-উপজেলায়। অথচ দরিদ্র মানুষের একজনও সেইসব মাংস পায়নি। গরিবের জন্য পাঠানো মাংস বিতরণে অনিয়মের ঘটনা গত ১৬ বছর থেকে টানা চলেছে। এই মাংসের সম্পূর্ণ অধিকার দুস্থ, অভাবগ্রস্ত ও এতিমদের।

সূত্র জানায়, গত ২০২৩ সালে বিয়ানীবাজারে ২০ কার্টুন উট-দুম্বার মাংস আসে। তবে কোথাও তা বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ নিয়ে কোন তথ্য নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ নিয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেননি। যদিও মাংস যেন শুধু গরিবরা পান, সে নির্দেশনা জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে দেওয়া থাকে। যেহেতু এটি কোরবানির মাংস, তাই এ পবিত্র মাংসের প্রতি অনেক মানুষের আকাঙ্ক্ষা থাকে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত বছর উট-দুম্বার মাংস বিতরণে দেরি হয়েছিল। এসব তালিকা মূলত সরকারি দলের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করতেন। বিশেষ এক ব্যক্তি তালিকা করে আমাদের কাছে দিতেন। আমরা সেই তালিকা অনুযায়ী মাংস পৌঁছে দিয়েছি। আসলে এ মাংস শুধু দুস্থ, এতিম ও অসহায় মানুষের জন্য। এরপরও মাংস বিতরণে অনিয়ম হয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদের সাথে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category