আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে ভোটের মাঠে এখনো পর্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ভোটারদের মন জয় করতে দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন কয়েক দিন পর পর নিজের নির্বাচনী এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন। তাছাড়া সেলিম উদ্দিনের অবর্তমানে থেমে নেই নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার কাজ। দলীয় কর্মী-সমর্থক ও ভোটার বাড়াতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছে জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার দায়িত্বশীলরা। সাধারণ মানুষের সাথে মিশে দলীয় রাজনীতির ভিত্তি এবং ইসলামি কার্যক্রম সম্পর্কে জানান দিচ্ছে দলটির দায়িত্বশীলরা। উপজেলার অধীনস্থ ইউনিয়নগুলোর একদম তৃণমুলে গিয়ে তাদের এমন কার্যক্রমে বেশ সাড়া পড়েছে। একাধিক ইউনিয়নে দাওয়াতি কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে দলটির সাথে সংশিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়। তাছাড়া নির্বাচনের আগে দলীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ১০টি ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় এসে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
আরব আমিরাত প্রবাসী ও জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার কর্মী সালেহ আহমদ বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে স্বাভাবিক কাজকর্ম বেগবান করার অংশ হিসেবে যোগাযোগ বাড়ানোসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের দায়িত্বশীলরা ইউনিয়ন ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা চুড়ান্ত করেছে। আমরা কর্মীরা সেগুলো বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছি।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক কার্যক্রমে মানুষের আরোও কাছে যাওয়ার অংশ হিসেবে সর্বত্র দাওয়াত দেয়ার কাজ চলছে। রাজনৈতিক দলে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।’ তিনি জানান, প্রত্যেক এলাকার প্রতিটি ঘরে-ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় দায়িত্ব নয়, এটি মহান আল্লাহর নিদের্শিত দায়িত্ব।
উপজেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এবার ভিন্ন ধর্মাবলম্বি এবং নারীদের টার্গেট করে দাওয়াতি কার্যক্রমে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া গ্রামের একদম সাধারণ মানুষকেও ইসলামি রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা চলছে।
