সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন বাংলাদেশিকে আবারো পুশইন করেছে বিএসএফ। বিজিবি তাদের আটক করে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বেশীরভাগের বাড়ি নড়াইল জেলায়। এর আগে গত ২৫ মে একই সীমান্ত দিয়ে আরো ৩২ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। আটককৃতদের মধ্যে ৫জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা এবং ৮ জন শিশু।
বৃহস্পতিবার ভোরে বিয়ানীবাজার সীমান্তের নওয়াগ্রাম এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
আটকরা হলেন, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কেরামত শেখ (৬০), রমেছা বেগম (৫৫), বিষ্টুপুরের কুলছুম শেখ ((২০), ওমর শেখ (২ মাস), নড়াগেতির জহুরা বেগম (৬০), সোহাগী বেগম (৩২), সিদ্দিক শিকদার (১৮), সুমাইয়া বেগম (১১), রাফি শিকদার (৯), হাসান শিকদার (৩), কালিয়া উপজেলার জুয়েল শাহানুর শেখ (২৮), মরিয়ম খাতুন (২৫), আমেনা খাতুন (৮), আনার শেখ (২ মাস), তাছলিমা বেগম (৩৫), ইয়ামিন (১৭), ইয়াসিন (৫), ইয়াকুব (৪), রোকসানা (৩৫), গোপালগঞ্জের আজগর আলী (৪০) ও ইতি বেগম (৩৬)। তারা সবাই ভারতে দিনমজুরের কাজ করতেন।
বিজিবি জানায়, ৫২ ব্যাটালিয়নের টহল দল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় তাদের আটক করে। পরে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, ‘আটক সবাই বাংলাদেশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘২১ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’