• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

বিয়ানীবাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু

সামিয়ান হাসান / ১৯২ Time View
Update : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

সঠিক পরিকল্পনা আর অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে দীর্ঘ ২ যুগ ধরে জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন পৌর শহরের বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রধান সড়ক তলিয়ে যায় পানির নিচে। বিশেষ করে থানার সামনের প্রধান সড়ক, চাউল গলি, সুপাতলা-মুরাদগঞ্জ এলাকা, নিমতলা এবং খাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখ এলাকায় জজলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হতেন। এই অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও উন্নতি করতে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা কাজী শামীম আগেভাগেই উদ্যোগ নিয়েছেন শহরের ড্রেনেজ গুলোর পরিস্কার করার। যাতে বৃষ্টি হলে ড্রেনেজের মধ্যখানে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়। সোমবার সকালে তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে ড্রেন গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্ভোদন করেন।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সাথে সংযুক্ত ছোট-বড় সব খাল, পুকুর ও নালা ভরাট করে বহুতল ভবন তৈরি করা হয়েছে। তাই বন্যা বা বৃষ্টির পানি বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পৌরসভা গঠনের পর একজন প্রশাসক ও দুইজন মেয়র পুরো এবং আংশিক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলেও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেননি। ড্রেন নির্মাণের নামে প্রতি বছর কোটি-কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে-এমন কথাও ক্ষোভের সঙ্গে পৌরবাসীকে বলতে শোনা যায়।

জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির বিয়ানীবাজার পৌরসভার মোট আয়তন ৮.১৭ বর্গকিঃমিঃ। লোকসংখ্যা প্রায় ৪৫০০০ জন। ৩১ জুলাই ২০১৭ সালে এটি প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়। পৌরসভায় মোট ২৮ কি. মি ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে পৌর শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্মুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। খোলা ড্রেনেজের কারণে পৌর এলাকায় বাড়ছে মশার উপদ্রব। অপরিচ্ছন্ন ড্রেন, জমা পানি আর আর্বজনার কারণে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু বাড়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এখানকার ৯টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ ড্রেন খোলা অবস্থায় রয়েছে। পুরনো ড্রেনেজের পাশাপাশি নতুন ড্রেনগুলোতেও ঢাকনা নেই।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের গোলাবশাহ যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ জানান, পৌরএলাকার ড্রেনগুলোতে কোনো প্রবাহ নেই। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। অনেক স্থানে ড্রেন ভেঙে সমান হয়ে গেছে। ফলে বাসাবাড়ির পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ভেসে রাস্তাগুলো একাকার হয়ে যায়।

স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার বলেন, পৌর এলাকার খোলা ড্রেন পৌরবাসীর জন্য একসময় অভিশাপ হয়ে উঠবে। খোলা ড্রেনেজ ব্যবস্থায় দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অপরদিকে দীর্ঘদিন ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌর এলাকার মূল সড়কের পাশে থাকা নর্দমার বিভিন্ন অংশও ঢাকনাবিহীন রয়েছে। এতে পথচারীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।

নাগরিক দূর্ভোগের এই বিষয়টি বুঝতে পেরে পৌরসভার উদ্যোগে নতুন করে ড্রেনেজ পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পৌর এলাকার সরকারি কলেজের সামনা থেকে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম। তিনি এ সময় বলেন, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। ড্রেন পরিষ্কার শেষ হলে মশার উপদ্রব কমাতে ওষুধ স্প্রে করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category