• মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন গৃহবধূ

ডেস্ক রিপোর্ট / ২১ Time View
Update : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহবধূ। প্রেমিকেরউ দেওয়া বিয়ের আশ্বাস পেয়ে ঘর ছাড়েন তিনি। তবে প্রেমিকের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন প্রেমিক নাজমুল হোসেন।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের মধ্যপাড়ায়। প্রেমিক নাজমুল হোসেন ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের পুত্র। অপরদিকে, ঘরছাড়া গৃহবধূর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায়। ১৪ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে তার।

রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে জানা যায়, এদিন সকালে বিয়ের আশ্বাস পেয়ে নাজমুলের বাড়িতে আসেন ওই গৃহবধূ। তারপর থেকেই নাজমুল লাপাত্তা। বাড়ির লোকজনও নাজমুলের খোঁজ জানেন না। নাজমুল নিজেও বিবাহিত। তিনিও এক সন্তানের জনক।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, মোবাইলে রঙ নম্বরে ফোনকলের সূত্র ধরে নাজমুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। এরপর ওই গৃহবধূকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাজশাহীতে এনে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান নাজমুল। বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নিয়েছেন নাজমুল। কথা ছিল এবারের ঈদুল ফিতরের পর তাকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসবেন।

গত ৩ এপ্রিল ভুক্তভোগীকে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে নিয়ে আসেন নাজমুল। এরপর বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে রাতযাপন করেন তারা। শনিবার (৪ এপ্রিল) পুঠিয়া উপজেলার বাণেশ্বর বাজারে কাজী অফিসেহ বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু নাজমুলের আর খোঁজ মেলেনি। বাধ্য হয়ে রোববার সকালে নাজমুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন তিনি।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ আরও অভিযোগ করেন, নাজমুলের বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত করেছে। প্রতিকার পেতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

নাজমুলের স্ত্রী বলেন, ওই মেয়েকে আমরা চিনি না। সে সকালে এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং নাজমুলের খোঁজ চায়। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকতে চাইলে আমরা বাধা দিই। এ সময় তার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে তাকে মারধর বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি।

ঝালুকা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজেনা বিবি জানান, ঘটনাটি শুনেছি। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরিষদে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো খবর পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category