সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুই কিলোমিটার দীর্ঘ করতিখাল নাব্যতা হারিয়ে এখন একেবারেই মৃত। একসময়ের এলাকার যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম, কৃষি উৎপাদনের অন্যতম উৎস এই খালটি পানিশূন্য হয়ে পড়ায় এর দু’পাশে হাওর ও বিলে ধানের উৎপাদনও কমছে। এক সময়ের খরস্রোতা এই খাল এলাকার কৃষি ও মৎস্যজীবীদের জন্য ছিল আশীর্বাদস্বরূপ।
কালের বিবর্তনে কুশিয়ারা নদী থেকে আসা পলিতে ভরাট হয়ে গেছে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার করতি খালের বেশিরভাগ অংশ। কোথাও কোথাও পানির রেখা দেখা গেলেও বেশিরভাগ জায়গায় এখন পানিশূন্য। একসময় যে খাল দিয়ে নৌকা ও লঞ্চ চলাচল করত, তা আজ অবৈধ দখলদারিত্বের শিকার। এর ফলে কৃষি ও মাছ ধরার মতো প্রধান আয়ের উৎসও বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে খালের নাব্যতা না থাকায় এলাকার কৃষি ও পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। স্থানীয়রা খালটিকে পুনঃখনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
করতিখাল পুনঃখননের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
করতি খালের বর্তমান পরিস্থিতি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত খালটি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস।
খালটি পুনখনন করলে স্থানীয় কৃষি, পরিবহন এবং অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।