বিয়ানীবাজারে টানা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের ব্যাঘাত দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর, কৃষক ও খেটে-খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পৌর এলাকার খাসা, শহীদটিলা, নিমতলা, আলীনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির কারণে জমে থাকা পানি দ্রুত নেমে না যাওয়া ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানি স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে চলাচল ও কর্মস্থলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহন ব্যাপক অসুবিধায় পড়েছে।
স্থানীয় সরকারি ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপাতত নদীগুলো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও, সুরমা নদীর পানি বেড়ে গেলে আলীনগর ও চারাখাই ইউনিয়নে, এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাষক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, এই জলাবদ্ধতা সমস্যা বহু পুরোনো এবং যথেষ্ট উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির সামান্য মাত্রাতেই এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। পৌর প্রশাসন ইতোমধ্যে পৌর শহরের পুরানো ও ক্ষতিগ্রস্ত ড্রেনগুলো সংস্কার করার চেষ্ঠা করছে এবং লুলাখাল পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। তবে, এই সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান করতে আরও সময় ও অর্থায়নের প্রয়োজন রয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ সক্রিয় থাকার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও প্রয়োজনীয় সচেতনতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।