• বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

সিলেটী যুবকদের চোখে এস্তোনিয়া স্বপ্ন, সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এজেন্সিগুলো

স্টাফ রিপোর্টার / ১৭৫ Time View
Update : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখলেই সামনে আসছে চটকদার বিজ্ঞাপন- ‘ভিসা দিচ্ছে ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়া’! ‘এক দেশের ভিসা নিয়ে ঘুরে আসুন সেনজেনভূক্ত ২৬ দেশ’। মনভোলানো এমন বিজ্ঞাপন দেখে সিলেটের তরুণরা ঝুঁকছেন ট্রাভেল এজেন্সিতে।
এই সুযোগে ইউরোপের নেশায় বিভোর তরুণদের কাছ থেকে ভিসা প্রসেসিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু ট্রাভেল এজেন্সি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কী দুর্বল প্রোফাইলের আবেদনকারীদের ভিসা দিচ্ছে এস্তোনিয়া? ভিসা পাওয়ার সুসংবাদ খুব একটা পাওয়া না গেলেও জাল ডকুমেন্টস দিয়ে ধরা পড়ে ইউরোপের দেশ ভ্রমণে ‘নিষেধাজ্ঞা’র মুখে পড়েছেন এমন অনেক ভূক্তভোগীর সন্ধান মিলেছে।
সিলেটের বিভিন্ন এজেন্সি ৯০% ভিসার নিশ্চয়তা দিয়ে এস্তোনিয়ার ভিসা প্রসেসিংয়ের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এজেন্সিগুলো প্রথমেই ফাইল প্রতি জমা নেয় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ভিসা হওয়ার পর ১০-১৪ লাখ টাকার চুক্তি থাকে। এরপর এজেন্সিগুলো জাল ডকুমেন্টস তৈরি করে আবেদন করে এস্তোনিয়ার ভিসার জন্য।
বিজ্ঞাপনে এজেন্সিগুলো ৯০ ভাগ ভিসা হওয়ার নিশ্চয়তার কথা বললেও বাস্তবে ঘটছে বিপরীত। একশ’ আবেদনকারীর মধ্যে ভিসা পাচ্ছেন ১-২ জন। জেনুইন ডকুমেন্টস ও হাই প্রোফাইলের আবেদনকারী ছাড়া অন্যদের ভিসা প্রত্যাখান হচ্ছে। এর মধ্যে যাদের ডকুমেন্টস জাল হিসেবে এম্বেসি সনাক্ত করতে পারছে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে ‘নিষিদ্ধ’ করে দিচ্ছে।
সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ায় এস্তোনিয়ায় ‘নিষিদ্ধ’ হওয়ায় পরবর্তীতে সেনজেনসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ওই আবেদনকারীর ভ্রমণ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
সিলেট নগরীর চৌকিদেখির শামীম আহমদ জানান, এস্তোনিয়ার ভিজিট ভিসার জন্য জিন্দাবাজারের একটি এজেন্সির মাধ্যমে তিনি ভিসা প্রসেস করিয়েছিলেন। ওই এজেন্সি প্রসেসিং বাবত প্রথমে অফেরতযোগ্য ৪০ হাজার টাকা নিয়েছিল। পরে ভিসা তো হয়নি, উল্টো জাল ডকুমেন্টস সাবমিটের কারণে তিনি ‘ব্যানড’ খেয়েছেন।
শামীম বলেন, সিলেটের বিভিন্ন এজেন্সি তরুণদের ইউরোপের স্বপ্ন দেখিয়ে এস্তোনিয়ার ভিসা প্রসেসিংয়ের নামে শত শত ফাইল নিচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারও ভিসার হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এজেন্সিগুলো শুধু মুখে ভিসা হওয়ার আশ্বাস দেয়। এতে ফাইল প্রতি তারা ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category