চা-বিরতির আগেই ১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৭০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে শঙ্কা জাগিয়েউ তোলে দুইশো রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। ১৯১ রানে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
চা-বিরতির পর খেলা মাঠে ফিরলে ১৯ রান করা হাসান মাহমুদ পরিণত হন ব্লেসিং মুজারাবানির তৃতীয় শিকারে দলীয় ১৮৭ রানে। জাকের আলী অনিক ২৮ রান পর্যন্তই এগোতে পেরেছেন মাধেভেরের শিকার হওয়ার আগে। বাংলাদেশের শেষ উইকেটও তুলে নিয়েছেন মাধেভেরে নাহিদ রানাকে ০ রানে বোল্ড করে।
এর আগে, রবিবার (২০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩২ রানে দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। ১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন সাদমান ইসলাম (১২) ও মাহমুদুল হাসান জয় (১৪)।
৫২ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। দলের বোর্ডে ৮৪ রান নিয়ে অবস্থায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এই জুটি এগিয়েছে ৬৮ রান পর্যন্ত। দলীয় ৯৮ রানে মুজারাবানির বলে ৪০ রান করে ফেরেন শান্ত।
মাত্র ৪ রান করে হতাশ করেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে মিড উইকেটে বড় শট খেলতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটেই ধরা পড়েন দলীয় ১২৩ রানে টাইমিংয়ের গড়বড়ে।
একপ্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক আদায় করে নেওয়াহ মুমিনুল হকও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শিকারে পরিণত হন ৫৬ রান করে। তিনিও আউট হয়েছেন বড় শট খেলার তাড়নায় মিড উইকেটে মাধেভেরের হাতে।
৬ ফুট ৮ ইঞ্চি দীর্ঘাদেহী ব্লেসিং মুজারাবানির বাউন্সারের কোনো জবাব ছিল না মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে। ছাড়বেন নাকি ডিফেন্স করবেন ভাবতে ভাবতেই গ্লাভস স্পর্শ করে ফেলে বল। উইকেটের পেছনে থাকা কিপার নিয়াশা ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। তার বিদায়ে ১৩৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বোলারদের মধ্যে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে আস্থাভাজন হলেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তিনিও মাসাকাদজার খাটো লেন্থের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপারের হাতে মাত্র ৩ রান করে। তার বিদায়ে ১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
চা-বিরতি থেকে এসে দলের বোর্ডে নতুন করে ৩৭ রান যোগ হতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা শিকার করেন সমান ৩টি করে উইকেট। জোড়া উইকেট শিকার করেন ভিক্টর নয়াচি ও ওয়েসলি মাধেভেরে।