গতকাল চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ৩৭ রানে জিতেছে খুলনা টাইগার্স। সে ম্যাচে খুলনার হয়ে ৫০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন উইলিয়াম বসিস্টো। তার ইনিংস বড় ভূমিকা রেখেছিল দলের ২০৩ রানের বড় সংগ্রহে। এমন ইনিংসের পর তার পরিচয় জানার আগ্রহ দেখা গেছে দেশের ক্রিকেটের ভক্ত ও সমর্থকদের মাঝে।
বয়স ৩১ হয়ে গেলেও তিনি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কেবল ১২টি। । ১৪টি লিস্ট ‘এ’ এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ২৮টি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ ও ১৯ দলে খেললেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে না পারায় খেলা হয়নি সিনিয়র পর্যায়ে।
বিপিএলে সাধারণত অনেক অখ্যাত ক্রিকেটারদের সুযোগ পেয়ে পারফর্ম করতে দেখা যায়। তাই বসিস্টোর পারফরম্যান্স করাটা অবশ্য অবাক করার মতো কিছুই নয়। তবে নিজের আগের ১১ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল মাত্র ৩৬। কোনো সংস্করণেই ব্যাটিং গড় ৩০ না ছোঁয়া এই অজি ব্যাটার বিপিএল অভিষেকে ৮ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় খেলেছেন ৭৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
ম্যাচশেষে খুলনার কোচ তালহা জুবায়েরের কথায় জানা গেল এই অজি ক্রিকেটারের তাদের দলে যোগ দেওয়ার পেছনে অবদান রয়েছে অল রাউন্ডার মিচেল মার্শ এবং ইমরুল কায়েসের।
সংবাদমাধ্যমকে তালহা জুবায়ের জানান, ইমরুল কায়েসের কাছে বসিস্টোর জন্য সুপারিশ করেন অজি অল-রাউন্ডার মিচেল মার্শ। এরপর ইমরুল বসিস্টোর ভিডিও কোচের কাছে পাঠালে তিনি রাজি হয়ে যান।
বসিস্টোর অধিনায়কত্বেই ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে পা রেখেছিল। বসিস্টোর নেতৃত্বে খেলা অস্ট্রেলিয়ার তারকা ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন ব্যানক্রফট, অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যাশটন টার্নার, কার্টিস প্যাটারসনরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন দাপটের সঙ্গেই।
তার সতীর্থরা ভালো করলেও তিনি হারিয়ে গেছেন। ভালো পারফরম্যান্স করতে না পারায় দল পাচ্ছিলেন না ঘরোয়া ক্রিকেটে। এর বাইরে পারিবারিক ঝামেলা, সন্তানের অসুস্থতা মিলিয়ে তিনি চলে যান আড়ালে।
বাংলাদেশের ইমরুল কায়েস এখন অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা। ক্রিকেটের পাশাপাশি শিখছেন কোচিং। সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে অজি ক্রিকেটারদের সঙ্গে।
খুলনা দলে খেললেও তালহা জুবায়ের নিশ্চিত করেছেন বসিস্টো আর্থিক চাহিদার জন্য খেলছেন না, ‘বসিস্টোর তেমন কোনো আর্থিক চাহিদা নেই। তিনি শুধু খেলার সুযোগ চান, নিজেকে প্রমাণ করতে চান।’