• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের ব্যাতিক্রমী প্রতিবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট / ৯৮ Time View
Update : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আলু সংরক্ষণের হিমাগারগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহীতে আবারও সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলার পবা উপজেলার বায়া এলাকায় সরকার কোল্ড স্টোরেজের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে কৃষকরা বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষুব্ধ কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি আলু সংক্ষণের জন্য আগে রাজশাহীর হিমাগারগুলোকে চার টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার তা বাড়িয়ে আট টাকা করা হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই তারা দ্রুত আগের ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান। হিমাগার ভাড়া না কমালে এবার তারা প্রয়োজনে আলু ফেলে দেবেন, কিন্তু হিমাগারে রাখবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে কৃষকরা ওই এলাকায় পথসভাও করেন। এসময় স্থানীয় বিএনপি তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, হিমাগার মালিকেরা সিন্ডিকেট করে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়িয়েছেন। এ ভাড়া কার্যকর হলে বাজারে আলুর দাম বাড়বে। এটি হতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে হিমাগার মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে।

এদিকে, আগের বছরগুলোতে আলু সংরক্ষণ করা হতো বস্তা হিসেবে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তার জন্য ভাড়া নেওয়া হতো ৩৪০ টাকা। হিমাগার মালিকরা ৫০ কেজির বস্তাতেই আলু দেওয়ার কথা বললেও ফড়িয়ারা ৮০ কেজির বস্তাতেও আলু রাখতেন। এতে হিমাগার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। তাই তারা এবার নতুন নিয়ম করেছেন। এবার কেজি হিসাবে সংরক্ষণ ভাড়া নেওয়া হবে।

হিমাগার মালিকরা জানান, ৫০ কেজির বস্তার জন্য আগে ৩৪০ টাকা নেওয়া হলে ভাড়া পড়তো ৬ টাকা ৮০ পয়সা। কিন্তু ফড়িয়ারা বস্তায় এত বেশি আলু দিতেন যে, ভাড়া পড়ত ৪ টাকা। অথচ বস্তায় ৫০ কেজির বেশি আলু না ঢোকানোর জন্য সরকারের নির্দেশনাও আছে। তা প্রতিপালন না করায় বাধ্য হয়েই তারা কেজি হিসেবে ৮ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বলেন, ভাড়া কেন্দ্রীয়ভাবেই নির্ধারণ হয়। এবারও সেটাই হয়েছে। ৫০ কেজির বস্তার ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য তারা এবার কেজি হিসেবে গিয়েছেন। কারণ বেশি ওজনের বস্তা টানা হিমাগারের শ্রমিকদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। কেজি হিসাবে গেলেও এটা বলছেন না যে, ৮ টাকাই দিতে হবে। হিমাগার মালিকরা যে যার সক্ষমতা অনুযায়ী এ ব্যাপারে ছাড় দেবে।

এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি একই ঘটনায় জেলার মোহনপুর পরিষদ চত্বরে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন কৃষকেরা। এসময় তারা সড়কে আলু ফেলে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category