সাদমান ইসলামের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের পরও দ্বিতীয় দিন শেষে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে পরপর দুই বলে মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলামের বিদায়ে পর তৃতীয় সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯১। লিড হয়েছে ৬৪ রান।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দিনের প্রথম বলে জিম্বাবুয়ের অলআউট করার পর ৩২ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় শতরানের জুটি গড়েন। তাদের জুটি হয় ১১৮ রানের।
সেই জুটি ভাঙে এনামুল হক বিজয় ক্যারিয়ারসেরা ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে। তবে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক আদায় করে নেন সাদমান ইসলাম। মুমিনুল হককে পাশে নিয়ে জুটি গড়েন ৭৬ রানের।
কিন্তু মুমিনুল এবং সাদমান দুজনই দলীয় ১৯৪ রানে পরপর দুই বলে ধরেন সাজঘরের পথ। মুমিনুল ৩৩ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইঅপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন বেন কারানের হাতে। সেটি ছিল ৫৩ ওভারের শেষ বলে। ৫৪ ওভারের প্রথম বলে ব্রায়ান বেনেট লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ১২০ রান করা সাদমানকে। চা-বিরতির আগে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে স্বাগতিকরা।
সেই অস্বস্তি সঙ্গী করে তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। মাঝারি মানের জুটি হয় তাদের দুজনের। ৬৫ রানের সেই জুটি ভাঙে নাজমুল হোসেন শান্ত দলীয় ২৫৯ রানে মাসেকেসার বলে নিক ওয়েলচকে ক্যাচ দিয়ে।
মাসেকেসাই পরের উইকেটের পতন ঘটান বাংলাদেশের। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে জাকের আলি অনিককে ৫ রানে থাকা অবস্থায় আউট করেন সফরকারীদের এই বোলার। ৪০ রান করা মুশফিক রানআউট হয়ে ফিরলে বিপদ আরও বাড়ে। নাঈম হাসানও টিকতে পারেননি। ২৭৯ রানে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
দিনশেষে এরপর আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯১ রান। তাতে লিড দাঁড়িয়েছে ৬৪ রানের। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ এবং তাইজুল ইসলাম অপরাজিত আছেন ৫ রানে।
ভিনসেন্ট মাসেকেসা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন আজকের দিনে। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্রায়ান বেনেট।