• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

সিলেটে পরিত্যক্ত কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান

স্টাফ রিপোর্টার / ১৬২ Time View
Update : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

সিলেটের হরিপুর গ্যাসফিল্ডের পরিত্যক্ত একটি কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপে এখন থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) কর্তৃপক্ষ।

সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ৭ নম্বর কূপের একটি স্থানের ১ হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ থেকে দৈনিক ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট ৭ নম্বর কূপের আরেকটি স্থানে ২ হাজার ১০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এই কূপে দৈনিক ৬-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ পাওয়া যাবে।

মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে সিলেট গ্যাসফিল্ডের অন্যান্য কূপ থেকে পাওয়া দৈনিক ৬০-৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭ নম্বর কূপ থেকে পাওয়া গ্যাস শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এর আগে চলতি বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপের ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এটি থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ পাওয়া যায়।

এসজিএফএল সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ আধার হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চলমান রেখেছে সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের প্রথমদিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খননকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় শ কোটি টাকা খরচে এই কূপ খনন করা হয়।

জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে হবে।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট। তারও আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খননকাজ শেষে ওই দিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড। আর ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো হলো হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশিদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

২০২২ সালে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনর্খনন করা হয়। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬-১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category