বিয়ানীবাজারে আর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ হচ্ছেনা। আমলাতান্ত্রিক জঠিলতা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের আঞ্চলিকতার জের ধরে অবশেষে এই প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও স্থান নির্ধারণ এবং ভূমি অধি:গ্রহণ নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতায় প্রথমদিকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থতিতে এবং বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর যে প্রকল্পগুলোর নামের শুরুতেই ‘শেখ’ রয়েছে এবং কার্যক্রম শুরু হয়নি সেগুলো বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ‘শেখ’ নামে থাকা যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বা যেগুলোর কাজ চলমান রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করা হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়ার পরই বিয়ানীবাজার উপজেলায় এটি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। তবে প্রায় এক যুগেও বিয়ানীবাজারে তা আলোর মুখ দেখেনি। এই সময়ের মধ্যে উপজেলায় অন্তত ৭ জন ইউএনও বদলী হয়েছেন। উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণের জায়গা না পাওয়ার অজুহাতে শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পটি আটকে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ শেওলা ইউনিয়নের কাকরদিয়া এলাকায় শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণের জায়গা পছন্দ করে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর আর স্টেডিয়াম নির্মাণ বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের কোন লিখিত নির্দেশনা না আসায় ধারণা করা হচ্ছে এই প্রকল্পটি বাতিল হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ জানান, আমাদের এখানে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলেই জায়গার সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। অথচ শত শত একর সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। কেবল সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার কারণে আমরা সরকারের বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ি। বিগত সরকারের আমলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পেশাদার খেলোয়াড় যারা আছে তারা প্রেটিস এর সুযোগ বাড়ত। খেলাধুলার চর্চা হত। বেকার যুবকরা বিপতগামী হওয়ার সুযোগ কমে যেতে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জানান, স্টেডিয়াম নির্মাণ বিষয়ে কোন আপডেট নেই। তবে এই ধরনের প্রকল্প থেকে সরকারের সরে আসার সম্ভাবনা বেশী।