• বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন

এক পা হারিয়েও হাসপাতালে সেবা দিচ্ছেন গাজার চিকিৎসক খালেদ

ডেস্ক রিপোর্ট / ১০০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫

ডাক্তার খালেদ আল-সাইদি। গাজার আল আকসা হাসপাতালে কাজ করছেন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে। তবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে তিনি হারিয়ে ফেলেন শরীরের এক পা। রোববার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেশা হিসেবে রোগীদের সেবা দিয়েছেন খালেদ। তবে ছয় মাস আগে, ইসরায়েলি হামলায় হারিয়েছেন এক পা। ফলে খালেদ নিজেই রোগী হন।

খালেদ জানান, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)-এর হামলার পর এক পা ক্ষতবিক্ষত হয়। সেই সময়ে আমার শরীরে ডায়বেটিস অনেক বেশি ছিলো। বাধ্য হয়ে পা কেটে ফেলতে হয়।

ডাক্তার খালেদ আল-সাইদি শিশুদের বিশেষজ্ঞ। ইসরায়েলি হামলার অন্যতম লক্ষ্য গাজার শিশুরা। প্রতিদিনই আল আকসা হাসপাতালে শিশুদের ভিড়। এমন পরিস্থিতিতে বসে থাকবেন কীভাবে এই ডাক্তার। তাই কৃত্রিম হাত-পা সংযোজন করে আবার উপস্থিত হাসপাতালে। লক্ষ্য একটাই! নিজ দেশের অসহায় শিশুদের চিকিৎসা করবেন। সেবা দিয়ে যাবেন মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার শিশুরা। সম্প্রতি, আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে ব্যাপক মানুষিক রোগে ভুগছে গাজার শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে হাজারো নির্দোষ শিশুদের ভবিষ্যৎ কি হবে, তা ভেবেই গা শিউরে উঠছে হাজারো ফিলিস্তিনি মা-বাবাদের। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে নাকি শীতের তীব্রতা থেকে সন্তানদের বাঁচাবে; তা ভেবেই কান্নায় ভেঙে পড়ছে অনেক অসহায় ফিলিস্তিনি। এছাড়াও অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার, চিকিৎসা সরঞ্জাম। সব মিলিয়ে, অনেক ভয়াবহ পরিস্থিত গাজায়। কবে হবে এই যুদ্ধের শেষ, সময় টা বলে দিবে!


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category