রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে বের হওয়া প্রতিটি চালের বস্তায় লেখা শেখ হাসিনার নাম কালো কালি দিয়ে মুছে বিতরণ করা হচ্ছে। বস্তাগুলোর গায়ে আগে থেকেই লেখা রয়েছে বিতর্কিত স্লোগান ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’।
বস্তার গায়ে এ ধরনের লেখাযুক্ত চাল বিতরণ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিতর্কের জেরে গুদাম কর্তৃপক্ষ এমন কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, গোয়ালন্দ খাদ্যগুদাম থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রশাসক এবং ডিলারদের অনুকূলে শত শত বস্তা চাল ট্রাক ও নসিমনযোগে বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. মুরাদ আলী কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিটি বস্তার গায়ে লেখা স্লোগান থেকে ‘শেখ হাসিনা’ নামটি কালো কালি দিয়ে মুছে তারপর যানবাহনে তুলে দিচ্ছেন।
এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও ডিলারদের সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
আলাপকালে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মুরাদ আলী বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়টি নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সচেতনভাবে এ কাজটি করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক নিয়াজ মাহমুদ জানান, গত শনিবার ও রবিবার দুই দিন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কার্ডধারী দুস্থদের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরের ১৮২ দশমিক ৭৬০ মেট্রিক টন এবং জেলেদের মৎস্য ভিজিএফের ১০১ দশমিক ৬০০ টন চাল চেয়ারম্যান, প্রশাসক ও ডিলারদের ডিও লেটারের অনুকূলে বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) থেকে বিতরণ করা হবে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১২৩ দশমিক ৫৬০ টন সাধারণ ভিজিএফের (ত্রাণ) চাল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ৩০ কেজির প্রতিটি বস্তার গায়ে লেখা স্লোগান থেকে ‘শেখ হাসিনার’ নামটি আমরা মুছে ফেলা হচ্ছে। তারপরও শত শত বস্তার মধ্যে দু-একটিতে ভুলক্রমে নাম থেকে যেতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’