বিয়ানীবাজার থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন মো. এনামুল হক চৌধুরী। যোগদান পরবর্তী বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার থানায় অফিসার ইনচার্জের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, বিয়ানীবাজারকে বাসযোগ্য জনপদ এবং অপরাধমুক্ত করা হবে। পুলিশের হারানো সুনাম ফিরিয়ে এনে আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। কোন নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। তাছাড়া এই উপজেলার কিশোর গ্যাং নির্মুল করতে কাজ করবেন তিনি। শুধু তাই নয় মাদকসেবিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান নবাগত ওসি এনামুল হক।
এ সময় বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট বিগত সরকার পতনের দিনে বিয়ানীবাজার থানা চত্ত্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তারেক আহমদ নামের একজন। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে গত ২০ আগস্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহারে স্থানীয় প্রেসক্লাব সভাপতি সজীব ভট্টাচার্য্য, সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদ, সাংবাদিক ছাদেক আহমদ আজাদ, সাংবাদিক মিসবাহ উদ্দিন ও সাংবাদিক মহসিন আহমদ রনিকে আসামী করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে আসামী হওয়া সাংবাদিকরা যাতে মামলা থেকে অব্যাহতি পান সেদিকে পুলিশকে গুরুত্ব দয়ার দাবী করেন তিনি। তখন ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছি। অহেতুক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় সাংবাদিকসহ নিরপরাধ কাউকে আসামি করা হবে না। প্রতিহিংসা ও হয়রানির উদ্দেশ্যে কারো নাম থাকলে তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ লোকদের নাম বাদ যাবে ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিরাই বিচারের আওতায় আসবে।
এসময় অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক চৌধুরী দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব পালনে স্থানীয় সাংবাদিকসহ সকল সচেতন মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। বিয়ানীবাজার থানার মাদক, চোরাচালান, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি নির্মূলে পুলিশের অভিযান সবসময় চলমান থাকবে বলে সাংবাদিকদের অবগত করেন।
প্রসঙ্গত, মো. এনামুল হক চৌধুরী ২০০৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে যোগদান করেন। নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি সৈয়দ আলী আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, হাজি আব্দুল আজিজ খান কলেজ থেকে এইচএসসি ও কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।