১। যখন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া মানুষগুলো প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, তখন কলেজ ক্যান্টিনে তাদের পানি কিনে খেতে বাধ্য করা হয়। পরে চাপের মুখে ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া হয়—যখন পানির সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল। কারণ? পানির টাকা কে দেবে?
২। পোড়া শরীর নিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা বেরিয়ে আসছিল—ভয়ে কাঁপছিল, আর্তনাদ করছিল। অথচ চারপাশের উৎসুক জনতা ভিডিও করতে ব্যস্ত। কারণ? ভিউ বাড়লে ইনকাম বাড়বে।
৩। জ্বলন্ত শরীর নিয়ে কেউ কেউ যখন বাইরে ছুটে আসে, তখন কোনো রিকশা বা সিএনজি রাজি হচ্ছিল না হাসপাতালে নিতে। কাছেই থাকা কোনো প্রাইভেট কারও সাহায্য করার মনোভাব দেখা যায়নি। কারণ? তারা নিজের সন্তান তো নয়!
৪। মাইলস্টোন কলেজ থেকে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একটি সিএনজি ভাড়া নিয়েছে ১০০০ টাকা।
৫। উত্তরা মেট্রোর নিচ থেকে মনসুর আলী মেডিকেল—রিকশা ভাড়া ১০০ টাকা।
৬। অনেক শিশুর আইডি কার্ড ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে। তারা আহত না হলেও তীব্র আতঙ্কে ঠিকানা কিংবা অভিভাবকের নাম্বার বলতে পারছে না। কোনো আইডি কার্ডেই পিতামাতার মোবাইল নম্বর নেই — অথচ সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
৭। যে যুদ্ধবিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে, সেটি ১৯৭৬ সালের পুরনো মডেল। প্রশ্ন হচ্ছে, এখনো কেন এমন ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্র আমাদের আকাশে উড়ছে?
❗এটাই কি আমাদের জাতিসত্ত্বা?
একজন পুড়ে যাওয়া শিশুর কান্না ভিডিওর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
একজন স্বেচ্ছাসেবীর পানির চেয়ে কোনো লাভের হিসাব বড় হতে পারে না।
একটা জীবন বাঁচানোয় দেরি করলে, আমরা সবাই দেরিতে মরছি।