• বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

চার মাস না পেরোতেই ভেঙে পড়ল সেতু, পারাপারে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট / ৯০ Time View
Update : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা খেয়াঘাটে তিস্তা শাখা নদীর ওপর নির্মিত ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কাঠের সেতুটি চার মাস না পেরোতেই ভেঙে পড়ায় ২০ গ্রামের মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে তাদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ওই খেয়াঘাট দিয়ে হরিপুর, বেলকা, কাশিমবাজার, বজরা, রমনা, চিলমারীসহ ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থী ঐতিহ্যবাহী বেলকাবাজার, বেলকা ডিগ্রি কলেজ, এমসি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকাযোগে যাতায়াত করতেন। এ ছাড়া ওই পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ গাইবান্ধা জেলা শহর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ও উপজেলাগুলোতে যাতায়াত করেন। উত্তরে চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট ও সুন্দরগঞ্জে চরাঞ্চলসহ ২০ গ্রামের মানুষের দাবি ছিল খেয়াঘাট এলাকায় স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন খেয়াঘাটটিতে কাঠের সেতু নির্মাণের জন্য এডিবি ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দ পেয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহানুর ইসলাম ছানা এন্টারপ্রাইজ ২০২৩ সালে কার্যাদেশ পায়। ঠিকাদার সেতু নির্মাণে টালবাহানা করতে থাকলে ২০২৪ সালে জনগণের দাবির মুখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তড়িঘড়ি করে ২০টি স্প্যানের ওপর ১০৫ মিটার দীর্ঘ ও ১.৩ মিটার প্রস্থের কাঠের সেতু নির্মাণকাজ চার মাস আগে শেষ করেন। সেতু নির্মাণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি। বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, ভেঙে কাঠের সেতুর স্থানে স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি জনগণের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, ভেঙে পড়া কাঠের সেতুর স্থলে স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category