মাগুরার নোমানী ময়দানে ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা আট বছরের শিশু আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় তার জানাজা সম্পন্ন হয়।
এদিকে শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই মাগুরায় শুরু হয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ। ছাত্র-জনতা শহরে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের ভায়না এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে।
মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই তার বাড়িতে ছুটে যান সর্বস্তরের জনগণ। ইফতারের পরপরই তার মরদেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার জেলা স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছায়। মরদেহের সঙ্গে আসেন স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এদিকে স্টেডিয়ামে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মাওলানা মামুনুল হক, মাগুরার জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় নোমানী ময়দানে। সেখানে সন্ধ্যা সাতটায় জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।
জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডী গ্রামে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত হয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে সেটা যদি আমরা বলি সেটা ভুল বলা হবে। আছিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। আছিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এরপর জনতা অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।