কয়েক দিন আগেও প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম এক লাফে ৩০০ টাকায় ঠেকেছে। বৃষ্টিই হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে হতবাক সাধারণ ভোক্তারা। তাদের অভিযোগ, একশ্রেণির লোভী বিক্রেতা বৃষ্টির অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিয়ানীবাজার পৌর শহরের বিভিন্ন সবজির দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা। পৌর শহরের সবজি বিক্রেতা আফজাল হোসেন জানান, পাইকারি বাজারে মরিচের দাম গত দুদিনে বেড়ে প্রথমে ২২০ টাকা, পরে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
মধ্য বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে ধনেপাতার দামে আগুন লেগেছে। এখন কাঁচামরিচের বাজারেও একই চিত্র। সাধারণ মানের মরিচ প্রতি কেজি ২৮০ টাকা এবং ভালো মানের ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি। তরিতরকারির দামও বাড়ছে। টানা বৃষ্টিপাত হলে মরিচের ক্ষেতে ক্ষতি হয়, এতে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ সময় বেশি দামে মরিচ সরবরাহ করে। ফলে খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যায়।
একই কথা বলেন সবজি বিক্রেতা মখলিছ, টানা বৃষ্টিপাতে ক্ষেতে মরিচের গাছের গোড়ায় পচন ধরে, ফলনেও ক্ষতি হয়। দামও বাড়তি থাকে। কিন্তু এ সময় বাজারে দামটা অতিমাত্রায় বাড়িয়ে দেয় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তারা সুযোগ পেলেই মরিচ, ধনেপাতা, লেবুর মতো পণ্যগুলো দাম বাড়িয়ে দেয়।
খাসাড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুকিত মোহাম্মদ বলেন, ২০ টাকার ধনেপাতা পাওয়া যায় না। কয়েকটা পাতা মেলে। ৩০-৪০ টাকার কিনতে হচ্ছে। এর মধ্যে কাঁচামরিচের দামও বেড়েছে। ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনতে খরচ হচ্ছে ৭০ টাকা। বৃষ্টি হলেই মরিচসহ সবজির দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।