মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে হলে চালক ও যাত্রীর মাথায় হেলমেট বাধ্যতামূলক। কারোর হেলমেট না থাকলে তিন মাসের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। কিন্তু বিয়ানীবাজারে সেই আইন মানছেনা কেউ।
বিয়ানীবাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে মোটরবাইক ও যাত্রী সংখ্যা। দ্রুত গন্তব্যে যাবার জন্য অনেকেই বেছে নেন এই বাহন। বিশেষ করে স্থানীয় তরুণদের কাছে মোটর সাইকেল এখন দৈনন্দিন জীবনের ফ্যাশন সঙ্গি। গত ৬ বছরে বিয়ানীবাজার পৌরশহর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় যতজন মারা গেছেন, তাদের কারোর পরনেই হেলমেট ছিলনা বলে জানা যায়।
মোটরযান চলাচল আইনের ৪৯-চ ধারায় বলা হয়েছে, ‘চালক ছাড়া মোটরসাইকেলে একজনের অধিক সহযাত্রী বহন করা যাবে না। চালক ও সহযাত্রীকে যথাযথভাবে হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ। এজন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কাটা যাবে’।
আমিন নামে এক মোটর বাইক চালক বলেন, হেলমেটে গরম লাগে। তাই হেলমেট ছাড়াই চলি। অপর বাইক চালক রায়হান বলেন, আলসে করে হেলমেট পরা হয়না। ২০ বছরের বাইক চালক তরুণ জাফর জানান, হেলমেটে নিরাপত্তা দিলেও ফ্যাশনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে ওঠে।
রাস্তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে হেলমেট একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম। মোটরসাইকেল আরোহী ব্যক্তিদের জন্য হেলমেট পরিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হেলমেট মাথাকে দুর্ঘটনার আঘাত থেকে রক্ষা করে। কোনো আকস্মিক সংঘর্ষে হেলমেট মাথায় সরাসরি আঘাত না লেগে তা শোষণ করতে সাহায্য করে। হেলমেট পরিধান করে দুর্ঘটনার সময় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বিশেষ করে বাইক আরোহীদের ক্ষেত্রে হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক হলে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
নিরাপদ সড়ক চাই বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সদস্য সচিব শফিউর রহমান বলেন, যাত্রীর নিরাপত্তার জন্য হেলমেট দরকার। কারণ সবকিছুর আগে জীবনের নিরাপত্তা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ানীবাজারের ট্রাফিক সার্জেন্ট কুতুব জানান, মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে হলে চালক ও যাত্রীদের মাথায় হেলমেট বাধ্যতামূলক। কারোর হেলমেট না থাকলে তিন মাসের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দেওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।