সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলা ৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বন্ধুয়া (দক্ষিণ নোয়াগাঁও) গ্রামে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। এতে স্কুল ছাত্রী’সহ উভয় পক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন।
হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন- ছমরু মিয়া (৪৫), আমরু মিয়া (৩৮), কবিরুন নেছা (৩০), স্কুল ছাত্রী সোনিয়া বেগম (১৫), হাসান মিয়া (১৯) ও খাদিজা বেগম (২৮)।
এ ঘটনায় বন্ধুয়া (দক্ষিণ নোয়াগাঁও) গ্রামের মৃত আনফর আলীর পুত্র গূরুত্বর আহত ছমরু মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি একই গ্রামের মৃত মন্তু মিয়া ওরফে মন্তাজ আলীর পুত্র বিলাল মিয়া, সেলিম মিয়া ও কন্যা মোছাঃ খাদিজা বেগম’কে অভিযুক্ত করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে বাদী ছমরু মিয়া উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বাদীর বিরোধ চলে আসছে। অভিযুক্তরা উশৃংখল ও লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক হওয়ার কাউকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে চলাফেরা করে। গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বোন কুলছুমা বেগম প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ঘর থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এঘটনায় অভিযুক্তরা বাদীকে সন্দেহ করে বাদী ছমরু মিয়াকে গালিগালাজ করত। শুধু তাই নয় একটা সময় থেকে মারপিট ও খুন-খারাপি করার পায়তারা করে আসছে। এরই জের ধরে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে অভিযুক্ত খাদিজা বেগম বাদীর বসতঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বাদীকে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালাজ করতে থাকে। এতে বাদীর কন্যা ও স্ত্রী প্রতিবাদ করলে এবং গালিগালাজ না করার জন্য বললে সে (খাদিজা) আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এতে তাদের মধ্যে তর্কবির্তক শুরু হলে বাদী তাদেরকে বাঁধা প্রদান করেন। এসময় অভিযোগপত্রের প্রধান দুই অভিযুক্ত বিলাল মিয়া ও সেলিম মিয়া বাদীকে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লোহার এঙ্গেল, লাঠিসোটা নিয়ে বাদীর উপর হামলা করে। এতে বাদী রক্তাক্ত হয়ে আহত হন। বাদীকে রক্ষা করতে বাদীর ভাই ও ২নং স্বাক্ষী আমরু মিয়া এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তাকেও মারধর করে রক্তাক্ত করে আহত করে। এরপর তাদেরকে রক্ষা করার জন্য বাদীর স্ত্রী কবিরুন নেছা ও কন্যা স্কুল ছাত্রী (আশুগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়) সোনিয়া বেগম এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তাদেরকে এলোপাতারি মারধর করে। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম হয়। আহতদের হাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে অভিযুক্তরা বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বাদীর থানায় দাখিল করা অভিযোগপত্রে উল্লেখিত বিষয় উঠে আসে। এ বিষয়ে অভিযুক্তরা বাদীর বড় ধরণে ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে চরম আতংঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তাই দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসন’সহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বাদী।
এব্যাপারে অভিযুক্ত বিলাল মিয়া বলেন, উনার অভিযোগগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। ছমরু মিয়ার সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে তিনি আমাদের উপর হামলা করে আমার বোন ও ভাইকে আহত করেছেন। আর এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।
অভিযোগপত্র পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই অনিক বড়ূয়া বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।