সিলেটের বিশ্বনাথে কিশোরী (১৭) মাদরাসাছাত্রী অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে সেলিম মিয়া নামের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মো. সেলিম মিয়া (৪২) ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের হতদরিদ্র এক পরিবারের কিশোরী রমজান মাসে দারুল ক্বেরাত শিক্ষা কেন্দ্রে কোরআন শিক্ষা নিতে স্থানীয় মসজিদে ভর্তি হয়। এতে দারুল ক্বেরাত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ক্বারী সেলিম মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ওই কিশোরী বাড়ি থেকে মাদসারায় যাওয়ার পথিমধ্যে ওই শিক্ষক তাকে জোর করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান।
পরে সিলেট শহরের একটি বাসায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা কিশোরী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। এরপর ধর্ষক কিশোরীর চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিষয়টি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে শেষ করতে চায়। কিন্তু ধর্ষিতার চাচাতো ভাই এ বিষয়টি স্থানীয় এক মুরব্বীকে সাথে নিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে কিশোরীর পরিবার (মামলা নং-৬)। মামলা দায়েরের পরপরই থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. সেলিম মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।