বিয়ানীবাজারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আপন ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে বড় ভাইকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুনাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় আদালত কর্তৃক পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।
গত বছরের ১৯ আগষ্ট যুক্তরাজ্য প্রবাসী জালাল উদ্দিন মৃত্যুবরণ করলে ২০ আগষ্ট তাকে দাফন করা হয়। দাফনের প্রায় এক মাস পর নিহত প্রবাসীর মেয়ে জোবায়দা জালাল পিতাকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আপন চাচাসহ কয়েকজনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দাফনের দুইমাস পর গত ১৮ অক্টোবর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ব্রিটিশ নাগরিক পিতাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ করে আদালতে ওই মামলা দায়ের করা হয়। নিহত ব্রিটিশ নাগরিকের নাম জালাল উদ্দিন (৬৫)। তিনি উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে।
ব্রিটিশ নাগরিক জালাল উদ্দিনের মেয়ে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী জোবায়দা জালাল তার মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকায় তার বাবা ২০১৯ সাল থেকে দেশে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১৯ আগস্ট তার বাবাকে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বড় চাচা সুনাম উদ্দিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে মারধর করেন। এসময় তার বাবা মাটিতে পড়ে মারা যান। তবে মারা যাওয়ার পূর্বে তাকে মারধর করা হয়েছে স্থানীয়দের বলে যান। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে মারধরের খবর পেয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পুলিশ সুপার বরাবর প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেন এবং পরে দেশে এসে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
যুক্তরাজ্য থেকে মামলার বাদী জোবায়দা জালাল প্রতিবেদককে ভয়েস মেসেজে বলেন, ‘তাদেরকে প্রথমে চাচা সুনাম উদ্দিন হার্ট অ্যাটাকে বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। পরে রাতে এক স্বজন ঝগড়ার কথা জানালে, তারা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করেও পারেননি বাবার মরদেহের ময়না-তদন্ত করতে। তার দাবি- দ্রুত তার বাবার মরদেহের ময়না-তদন্ত হলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। স্থানীয় অনেকেই তার চাচার ভয়ে ভীত হয়ে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, আদালত থেকে ময়না-তদন্তের নির্দেশ দেয়ার পরও এখোনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করায় আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি।