সিলেটের বিয়ানীবাজারে নিজ বাড়িতে প্রতিবেশী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই বছরের শিশু কন্যা এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। আরোও ২-৩ দিন পর তার গোপনাঙ্গে অস্ত্রোপাচার করা হবে বলে জানা গেছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারী বিভাগে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে তার অবস্থা অবনতির দিকে। সে শুধু ভয়ে চিৎকার দিচ্ছে। পারিবারিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন প্রাইভেট হাসপাতালে নিতে পারছেন না অভিবাবকরা।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামী রাজু আহমদ (২২) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, আমলী আদালত নং ৪-এ সে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানায়। ধর্ষক রাজু বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সুপাতলা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। তাকে রিমান্ডে আনতে আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী বেলা আড়াইটার দিকে পৌরশহরের সুপাতলা গ্রামে নিজ বসতঘরে ধর্ষণের শিকার হয় দুই বছরের শিশু। ঘটনার সময়ে ওই শিশুর মা কাপড় ধোয়ার কাজে বাইরে অবস্থান করছিলেন। তখন ধর্ষক রাজু ফাঁকা ঘর পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়ের কান্না শুনে তার মা বসতঘরে আসলে ধর্ষক রাজুকে ঝাপটে ধরেন। তবে ধস্তাধস্তি করে উলঙ্গ অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে যায় রাজু।
ওই শিশু কন্যার দিনমজুর পিতা জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার তার মেয়ের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে তাকে শিশু সার্জারী বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ছবেদ আলী জানান, আসামীকে রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত সম্পন্ন হবে।
