• বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন

বিয়ানীবাজারে মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে হেনা, ছেলেদের বাপ্পারাজ!

সামিয়ান হাসান / ২৪ Time View
Update : রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। সময় যতই ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ঈদ কেনাকাটায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে বিয়ানীবাজার বিপনীবিতান আর শপিং মলগুলোতে। ক্রেতারা প্রিয়জনের জন্য কিনছেন পোশাক, জুয়েলারি, জুতাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে বাহারি আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে দোকানগুলো। স্থানীয় বিপনী বিতানগুলোতে মেয়েদের পছন্দদের পোশাকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে হেনা। ছোট বড় সব মেয়েদের পছন্দ হেনা। বিক্রেতারাও বলছেন অন্যান্য পোশাকের থেকে ক্রেতাদের হেনার প্রতি চাহিদা বেশি। এদিকে ছেলেদের পছন্দ তালিকায় উপরের দিকে বাপ্পারাজ পাঞ্জাবি। বাংলা সিনেমার নায়িকার দৃশ্যে হেনা আর বাপ্পারাজের অভিনয় ভাইরাল হওয়ায় এবারের ঈদে এই নামের পোশাকের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরে ঈদের কেনাকাটায় আগ্রহী সব বয়সী নারী-পুরুষের ঢল। ইফতারের পর এই ঢল আরো বেড়েছে। বিপনী বিতানগুলোতে নারীরা একাধিক পোশাক কিনছেন। ঈদে গরমের জন্য আরামদায়ক পোশাক কিনতে দেখা গেছে অনেককেই। পছন্দের পোশাক খুঁজতে দোকান ঘুরে ঘুরে ক্রেতারা সেরে নিচ্ছেন শেষ সময়ের কেনাকাটা। তবে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ আছে ক্রেতাদের।

ক্রেতারা বলছেন, আর বেশিদিন বাকি নেই ঈদের। পছন্দসই কেনাকাটার এখনই সময়। মানসম্মত নয় এমন পোশাকেও বাড়তি দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নাদিয়া নামের এক ক্রেতা জানান, গরমের কারণে এবার একটু হালকা কাপড়ের পোশাক খুঁজছি। কারণ ঈদে ঘুরাঘুরিতে আরামদায়ক পোশাক প্রয়োজন। তাহসান নামের এক ক্রেতা এসেছেন পাঞ্জাবি কিনতে। তিনি কয়েক দোকান ঘুরে কাশ্মীরি পাঞ্জাবি কিনেছেন।

বাবার মায়ের সঙ্গে ছোট্ট রেহান এসেছে ঈদের কেনাকাটা করতে। রেহান জানায়, সে এবার পাঞ্জাবি, প্যান্ট এবং শার্ট কিনেছে। এছাড়া খেলনা কেনার জন্য বাবা-মাকে বলেছে।

পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্রেতারা। তবে প্রায় সবার মুখে শোনা গেছে একই আক্ষেপ—‘এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি।’ কৌতূহলের বিষয় হলো, শুধু ক্রেতা নয়, বিক্রেতারাও বলছেন একই কথা। পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। বিশেষ করে যাঁদের আয় নির্ধারিত ও সীমিত।

এবার ভারতের বদলে পাকিস্তান, চীন ও থাইল্যান্ডের কিছু পোশাক ঈদের বাজারে এসেছে বলে জানান দোকানিরা। তবে ভারতীয় পণ্যের তুলনায় সেগুলোর দাম বেশি। একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী রাশেদ হোসেন বলেন, ‘ইন্ডিয়ার যে ড্রেসটা আমরা ৫ হাজার টাকায় বেচতে পারি, পাকিস্তানের সেই ড্রেস ১৫ হাজারে বেচতে হয়। পাকিস্তানের ড্রেসের কোয়ালিটি ভালো হয়। সে কারণে দামও অনেক বেশি।

বিয়ানীবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম শামীম জানান, এবারের ঈদকে ঘিরে শবেবরাতের পর থেকে বিকিকিনি শুরু হয়েছে। তবে ইদানীং একটু কম। ২৫ রমজানের পর কেনাকাটার প্রবণতা আরো বাড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category