ভারতের মেঘালয়ে গ্রেপ্তার সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও যুবলীগের চার নেতা জামিন পেয়েছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জোয়াই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেঘালয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে তিনি বলেন, ‘শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। জামিনের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ছাড়া জামিনপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা যুবলীগ নেতা ও সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসাহাব উদ্দিন সাহেল।
ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা জোয়াই পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর জে কে মাজাও স্থানীয় সাংবাদিকদের
জানান, ছয় বাংলাদেশি নাগরিকসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ডাউকি পুলিশ স্টেশনে ১৬ আগস্ট একজন ট্রাকচালক লিখিত অভিযোগ করেন। ১৯ আগস্ট মামলা করা হয়। এই মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর পাঁচজনকে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ডাউকি থানায় তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০ ডিসেম্বর আমলারিয়াং জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জোয়াই আদালতের আইনজীবী রাম সিং জানান, মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, ডাকাতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ধারালো অস্ত্র ব্যবহার ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অভিযুক্তরা সিলেট সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যান। ডিসেম্বরে শীত বেড়ে যাওয়ায় ৫ নভেম্বর তারা শিলং থেকে কলকাতায় চলে যান।
এদিকে অভিযুক্তরা যথাযথ নিয়ম মেনেই ভারতে ভ্রমণ করেছেন মন্তব্য করে নাদেল জানান, হয়রানির উদ্দেশ্যেই এইসব অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।