• বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার / ২২ Time View
Update : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তার গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতি। এ অবস্থায় ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন মেজর জিয়াউর রহমান। তার এ ঘোষণা শুনেই দেশবাসী বুঝতে পারে, স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এ ভাষণ জনসাধারণকে ব্যাপকভাবে আলোড়িত, উদ্বেলিত ও আশান্বিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ^ মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয় বাংলাদেশ; সবুজ জমিনে লাল সূর্যখচিত বিজয় নিশানের উদয় ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উদযাপনে আজ সারাদেশে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই উপলক্ষে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে সমবেত হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেছেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাধীনতার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার নিভৃত আমবাগানে শপথ নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে এই সরকারের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক কাঠামো লাভ করে। একটি সুশৃঙ্খল ও অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালিদের রুখে দাঁড়ানোর নজির পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী প্রাণপণ যুদ্ধের সফল পরিণতিতে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলার আকাশে ওড়ে বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা। মরণপণ লড়াই ও একসাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই বিজয়। স্বাধীনতা তাই বাংলাদেশিদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category